নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদ, মেজর আরিফ ও এম এম রানাসহ ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। বুধবার মামলার নির্ধারিত তারিখ থাকায় আসামিদের কঠোর প্রহরায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদনী রুপম আগামী ৬ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী ধার্য তারিখ ঘোষণা করেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খাঁন জাগো নিউজকে জানান, চার্জশিটভুক্ত ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেফতারকৃত ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক কিন্তু চার্জশিটভুক্ত বাকি ১৩ আসামিকে মামলা তদন্তকারী সংস্থা ডিবি এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। বিষয়টি আদালতে জানানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে এখনো ভারত থেকে দেশে আনা হয়নি। এ সরকারের ইচ্ছার ঘাটতি রয়েছে। চার্জশিট থেকে আব্যহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নিহতের পরিবারগুলোকে হুমকি দিচ্ছেন। এতে করে তারা শঙ্কায় আছেন। গত ৮ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী সংস্থা ডিবি নূর হোসেন, র্যাব কর্মকর্তা ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। তবে বিউটির মামলায় নূর হোসেন ছাড়া বাকিদের অব্যাহতি দেওয়া হলে বিউটি আদালতে না রাজি পিটিশন দেন। চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়ার পরেই আত্মগোপন অবস্থা থেকে এলাকাতে ফিরে আসেন ইয়াসিনসহ অন্যরা।উল্লেখ্য, সাত খুনের ঘটনায় প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অপহরণ শেষে হত্যার ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এ মামলায় নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে, অ্যাডভোকেট চন্দন সরকার ও গাড়ি চালক ইব্রাহিমকে অপহরণ ও হত্যা মামলার বাদী ছিলেন চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। এ মামলায় আসামি অজ্ঞাত করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামন থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন। ৩০ এপ্রিল বিকেলে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জন এবং ১ মে সকালে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মো:শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/পিআর
Advertisement