রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে অংশ নেয়ায় ছাত্রলীগের হামলায় গুরুতর আহত তরিকুল ইসলামের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। শনিবার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর থেকে তিনি বমি করছেন। তার বোন ফাতেমা খাতুন ও সহপাঠীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়ার পর আহত তরিকুল ইসালাম বর্তমানে নগরীর রয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তারিকুলের শয্যাপাশে অবস্থান করা তার বন্ধু মতিউর রহমান জানান, সকাল থেকে তরিকুল কিছুটা ভালো ছিল। তবে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর পর বমি করছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে এখানে ডাক্তার উপস্থিত না থাকায় কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তার পায়ের আবারও অস্ত্রোপচার করতে হবে।
তারিকুলের বোন ফাতেমা খাতুন বলেন, গতকাল একবার ডাক্তার এসে ৭টি পরীক্ষা করাতে বলেছিলেন। আমরা করিয়েছি। রিপোর্টগুলো হাতে আছে। বিকেলে ডাক্তার আসার কথা রয়েছে। তাই এখন কিছু বলতে পারছি না।
Advertisement
এদিকে তরিকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতিতে ভেঙে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। ফাতেমা খাতুন বলেন, অবস্থা ভালো না, তাই মা-বাবাকে এখানে আসতে দেয়নি। এমনিতেই তারা ভেঙে পড়েছেন।
তরিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। তিনি বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক। গত সোমবার কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচিতে পতাকা মিছিলে অংশ নিলে ছাত্রলীগের ধাওয়ায় রাস্তায় পড়ে যান তরিকুল ইসলাম। এ সময় রড, রামদা, বাঁশের লাঠি ও হাতুড়ি দিয়ে তাকে বেধরক পেটায় ছাত্রলীগ নেতারা। এতে তার মাথা ফেটে যায় ও পা ভেঙে যায়।
আরএআর/জেআইএম
Advertisement