রাজনীতি

‘খালেদা ছাড়া অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না’

খালেদা জিয়া ছাড়া দেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

Advertisement

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারাগারে রাখা হয়েছে। বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সেইদিন হবে যেদিন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। ভারত থেকে শুরু করে সকল প্রতিবেশি দেশ চায় বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচনের জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের আয়োজনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার ও ভোটের অধিকার’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মওদুদ বলেন, আমরা আগেই বলেছি এই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। খুলনা এবং গাজীপুরের নির্বাচনের মাধ্যমে এই কমিশনের মুখোশ উন্মোচন হয়ে গেছে। আমরা বারবার বলছি আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচনের ৯০ দিন আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং এই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।

Advertisement

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দল জড়িত নেই- এমন দাবি করে মওদুদ বলেন, এটা একটা স্বতস্ফুর্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। ১০০টা সরকারি চাকরির নিয়োগের মধ্যে ৫৬টি যদি কোটায় চলে যায় তাহলে থাকে কী? বাকি যে ৪৪ শতাংশ নিয়োগ পায় তার মধ্যে রাজনৈতিক প্রভাব খাটানো হয়। প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে। আমরা শুনে তার প্রশংসা করেছিলাম। কিন্তু ২৭ জুন তিনি আবার একই সংসদে দাড়িয়ে বললেন কোটা পদ্ধতি থাকবে। আমরা কিভাবে তার কথা বিশ্বাস করবো?

দলের চেয়ারপারসনের বিষয়ে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বানোয়াট মিথ্যা মামলার ওপর ভিত্তি করে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজকে ৫ মাস হয়ে গেছে তিনি জেলে। আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছে। তারপরও আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না। দেশের উচ্চতম আদালতের আদেশকে অকার্যকর করতে নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাহী বিভাগের কাজ করছে। দেশের মানুষকে বোঝাতে হবে উচ্চতম আদালতের জামিন আদেশ কিভাবে ম্যাজিস্ট্রেট বিলম্ব করে। আজকে খালেদা জিয়ার ব্যপারে এরকম হলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা তাহলে চিন্তা করেন। কোথায় যাবে সাধারন মানুষ যদি আদালতে সুবিচার না পায়। আমরা চাই আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে। কিন্তু রাজপথ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব আ স ম মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, কৃষক দলের সহ-দফতর সম্পাদক এস কে সাদী প্রমুখ।

কেএইচ/এনএফ/আরআইপি

Advertisement