জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এক নারীকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে তিন যুবক। অন্য একজন মোবাইলে ছবি তুলছে আর হুমকি দিচ্ছে, ‘চিৎকার করলেই টিভিতে ছড়িয়ে দেয়া হবে ভিডিও।’ আর ওই নারী চিৎকার দিয়ে বলছেন, ‘ভাইয়া এমনটি করেন না, আমাকে ছেড়ে দেন।’
Advertisement
এক নারীকে শ্লীলতাহানির এমনই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের উন্নাওয়ের।
উন্নাওয়ে এর আগে বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে ভারতে তোলপাড় শুরু হয়। গত মাসেই নয় বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে দেয়া হয়েছিল।
এক মিনিট ১৭ সেকেন্ডের ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে, তিন যুবক এক নারীকে জোর করে জঙ্গলের গভীরে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। চলছে শ্লীলতাহানিও। মহিলাও অসহায়ভাবে প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন। তার মধ্যেই এক জন মোবাইলে ভিডিও তুলছে। তার হুমকি স্পষ্ট, এই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে।
Advertisement
হয়েছেও তাই। ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। আর তারপরই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফেরার বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই নারীকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, ভিডিওটি উন্নাওয়েই রেকর্ড করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোন এলাকায়, তা আরও তদন্ত এবং আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই জানা যাবে। ওই যুবকদের জঙ্গলের ওই জায়গায় নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগারের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের এপ্রিলের সেই ঘটনা সামনে আসে এ বছরের এপ্রিলে। পুলিশ লক আপে নির্যাতিতা তরুণীর বাবার মৃত্যু হয়। ৮ এপ্রিল ওই তরুণী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বাসভবনের সামনে আত্মহত্যার হুমকি দেন।
মুখ্যমন্ত্রী তার দলের বিধায়ককে আড়াল করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ওঠে। দেশ জুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই শেষ পর্যন্ত তদন্ত যায় সিবিআইয়ের হাতে।
Advertisement
গত মাসে ৯ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বছর পঁচিশের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রক্তাক্ত অবস্থায় একটি ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে।
এ উন্নাওয়েই ফের নারীকে শ্লীলতাহানির এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় ফের অস্বস্তিতে যোগী সরকার।
সূত্র: আনন্দবাজার।
এসআর/এমএস