দেশে ১৯৭৯ সাল থেকে প্রশ্ন ফাঁসের প্রবণতা শুরু হয়েছে দাবি করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) জানিয়েছে, সর্বশেষ গত চার বছরে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় ৬৩টি প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিস্থ টিআইবি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। "পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস: প্রক্রিয়া, কারণ ও উত্তরণের উপায়" শীর্ষক গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ( রিচার্জ অ্যান্ড পলিসি) রুমানা শারমিন এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে অস্বীকার করা, আইনের প্রয়োগে শিথিলতা, তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, একই শিক্ষককে প্রতিবছর প্রশ্ন প্রণেতা হিসেবে নিয়োগ করা, তথ্য প্রযুক্তির উপর তদারকির ঘাটতিসহ বেশ কয়েকটি কারণে অব্যহতভাবে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। কোচিং সেন্টারগুলো প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ি উল্ল্যেখ করে রুমানা শারমিন জানান, প্রশ্ন ফাঁস ও বাজারজাত করার ক্ষেত্রে মূখ্য ভুমিকা পালন করছে কোচিং সেন্টার। এছাড়া, গাইড বই ব্যবসা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত গোষ্ঠী ও ফটোকফির দোকানের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁস হয়। তিনি আরো জানান, প্রশ্ন ফাঁসের কারণে নৈতিকতার অবক্ষয় ও শিক্ষার গুনগত মানের অবনতি হচ্ছে। এছাড়া প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উভয় অংশ জড়িত বলে দাবি করা হয়। প্রশ্নফাঁস রোধে সংশ্লিষ্ট আইনগুলোকে যথাযথো প্রয়োগ করার সুপারিশ করা হয় এ গবেষণায়। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর তদারকি বাড়ানো এবং প্রচলিত আইনের অধিনে শাস্তি নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার নিহার রঞ্জন রায়, নীনা শামসুন নাহার প্রমূখ। এমএম/এএইচ/এমএস
Advertisement