লাইফস্টাইল

দ্রুত ক্লান্তি কাটাবে যেসব খাবার

কাজের শেষে ক্লান্তি আসবেই। আবার বিশ্রামের শেষে ক্লান্তি কেটেও যাবে। কিন্তু সমস্যা বাঁধে তখনই, যখন লাগাতার ক্লান্তি দেখা দেয়। অন্যরা যেখানে হইচই, দৌড়ঝাপ করে বেড়াচ্ছেন আপনি হয়তো সেখানে একটুতেই হাঁপিয়ে উঠছেন। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যি, বয়সে তরুণদের মধ্যেই এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। ক্লান্তি দ্রুত কাটাতে চাইলে কিছু খাবার খেতে হবে আপনাকে। কী সেই খাবার। চলুন জেনে নেই-

Advertisement

আরও পড়ুন: যে কারণে গর্ভবতীরা কোমল পানীয় খাবেন না

ক্লান্তি দূর করতে বাদামের বিকল্প হয় না বললেই চলে। এর মধ্যে থাকা প্রোটিন এবং ফাইবার এনার্জির ঘাটতি দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বাদামের শরীরে উপস্থিত পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামও এক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে থাকে।

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে তরমুজ নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হয়। ফলে ক্লান্তি দূর হতে সময় লাগে না। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্তি ঘারে চেপে বসে। এই কারণেই তো নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

Advertisement

পটাশিয়ামে ভরপুর কলা সকাল বিকাল খেলে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। পটাশিয়াম শর্করাকে ভেঙে এনার্জির যোগান ঠিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে একাধিক রোগের প্রকোপ থেকেও শরীর রক্ষা পায়।

ক্লান্তি দূর করার মহৌষধি বলা যেতে পারে ওটমিলকে। কারণ এতে উপস্থিত কার্বোহাইড্রেট শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে দেয় না। ফলে ক্লান্তির প্রশ্নই ওঠে না। এখানেই শেষ নয়, কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও ওটমিলে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি ১-এর মতো উপাদানও থাকে। এগুলিও এনার্জির জোগানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

অফিস থেকে ফেরা মাত্র ধোঁয়া ওঠা এক পেয়লা গ্রিন টি ক্লান্তি দূর করতে দারুণ কাজে আসতে পারে! এতে উপস্থিত পনিফেনলস, স্ট্রেস কমায়, সেই সঙ্গে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর এবং মস্তিষ্কের ক্লান্তি দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আরও পড়ুন: গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চিরতরে দূর করতে যা খাবেন

Advertisement

প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট হলো এনার্জির ঘাটতি দূর করার সবথেকে জরুরি দুটি উপাদান। আর এই উপাদান দুটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে দইয়ে। সেই সঙ্গে এই দুগ্ধজাত দ্রব্যে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া হজমের সমস্যা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনে মাত্র ১ কাপ করে দই খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই ক্লান্তি চিরতরে ছুটিতে চলে যাবে।

এইচএন/এমএস