বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গমনেচ্ছুক ৪০ হাজার হজযাত্রীর যথাসময়ে ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সৌদি সরকারের পূর্ব শর্তানুযায়ী শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি দেশিয় হজ এজেন্সি এখন পর্যন্ত মক্কা মদিনায় বাড়ি ভাড়া কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারেনি।চলতি বছর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৭৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন যাত্রীর হজ পালনে সৌদি আরব যাওয়ার কথা রয়েছে। গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত সৌদি সরকার মাত্র ৫০ হাজার হজযাত্রীর বারকোডের অনুমোদন দিয়েছে। এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয় বিভিন্ন হজ এজেন্সিকে আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাস থেকে তাদের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। ফলে বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে অবশিষ্ট ৪০ হাজার হজযাত্রীর ভিসাপ্রাপ্তি নিয়ে আশংকা তৈরি হয়েছে।ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হজের সময় এগিয়ে গেলেও ৪৩৭টি এজেন্সিই এখনও সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া কার্যক্রম শেষ করতে পারেনি। ফলে হাজার হাজার হজযাত্রীর ভিসা পাওয়া না পাওয়া নিয়ে অজানা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।গত ৩০ জুলাই সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দুতাবাসের কাউন্সিলর (হজ) মো. আসাদুজ্জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে লেখা এক চিঠিতে বলেন, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারি ৭৮৩টি হজ এজেন্সির মধ্যে ৫টি এজেন্সি এখনও সৌদি আরবে আসেনি।অবশিষ্ট এজেন্সিগুলোর মধ্যে ৩৪১টি এজেন্সি বাড়ি ভাড়া কাজ শেষ করে মোয়াল্লেম অফিস থেকে বারকোড ও বাংলাদেশ হজ অফিস মক্কা থেকে বাড়ি ভাড়া করার ছাড়পত্র সংগ্রহ করে বাংলাদেশে ফিরে গেছেন। অবশিষ্ট এজেন্সিগুলোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে।মোয়াচ্ছাছা (সৌদি হজ অফিস) থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যানুসারে বেসরকারি হজ এজেন্সির পক্ষে ৫০ হাজার বারকোড সংগ্রহ করা হয়েছে। উক্ত হিসেব মতে এখনও অর্ধেক এজেন্সি তাদের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি বলে উল্লেখ করা হয়।একই চিঠিতে আরও বলা হয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ এ’তে ১১২৪ ও প্যাকেজ বি’তে ১২৩০ জন হজযাত্রীর জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বাড়ির মালিকের অনুকুলে শতকরা ৫০ ভাগ ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, চলতি বছর সৌদি সরকার হাজিদের অনলাইনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ পদ্ধতিতে ভিসা পেতে প্রতিটি হজ এজেন্সিকে মক্কা ও মদিনায় বাড়ি/হোটেল ভাড়ার রশীদসহ অনলাইনে আবেদনের জন্য ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু এখনও তা সম্পন্ন হয়নি।ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব (হজ) বেগম হাসিনা শিরিন এক চিঠিতে বিষয়টি সম্পর্কে হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ ও ঢাকা অফিসের পরিচালককে (হজ) অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে বুধবার সকালে দুই দফায় পরিচালক (হজ) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সচিব মহোদয়ের সাথে মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় কথা বলতে পারছেন না। তিনি বিনীতভাবে পরে ফোন করার অনুরোধ জানান।এমইউ/এআরএস/এমএস
Advertisement