আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে দেশের উন্নয়ন করছে, তা অনেকের চোখে ভালো লাগে না। তাদের মতে, দেশের মানুষ গরিব থাকবে। তাদের হাড্ডিসার কংকালসার শরীর দেখিয়ে বিদেশ থেকে টাকা আনবে। আবার কেউ দরিদ্রদের লোন দিয়ে গরিবের রক্ত চুষে নিজেদের ভাগ্য গড়বে। নিজেরা টাকার পাহাড় বানাবে। এ কারণে উন্নয়ন দেখলে তাদের গায়ে জ্বালা ধরে।
Advertisement
আজ শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের নয়া ভবনে অনুষ্ঠিত দলের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কার্যনির্বাহী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন সময়ে যে রিপোর্ট করেছে তা বই আকারে প্রকাশ করা হবে। এসব রিপোর্ট তুলে ধরে বই প্রকাশ করলে বাংলাদেশের ইতিহাস জানার জন্য আর কিছু প্রয়োজন হবে না। প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে যারা বিতর্ক করে তাদের মুখও বন্ধ হয়ে যাবে।
সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট দেশ ও জাতির জন্য দুর্ভাগ্য। এরপর অবৈধ ক্ষমতা দখল। সন্ত্রাস জঙ্গিবাদে দেশের এগিয়ে যাওয়া। উন্নয়ন স্তব্ধ। তবে সবকিছু পেছনে ফেলে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি নিয়ে এখন উন্নতির পথে কাজ চলছে। উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান। স্যাটেলাইট মহাকাশে। উন্নতির পথে মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা হচ্ছে। শিক্ষার গুরুত্ব অনুধাবন করছে মানুষ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আমরা চাই এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, এর সাথে উন্নত-সমৃদ্ধশালী হবে। সরকার শোষিতের পক্ষে এখন কাজ করছে। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশ ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হচ্ছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য সরকার গ্রাম ও শহরে সমান্তরালভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আজকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমরা সম্মান পেয়েছি। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ স্বীকৃতি পেয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সবাই এই স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এগিয়ে যাবে। শোষিত মানুষকে শোষণ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেওয়া- এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই, এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন। দেশের একটা মানুষ ঘরহারা থাকবে না, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। ফুটপাতে পড়ে থাকবে না। ২ লাখ ৮০ হাজার গৃহ নির্মাণের একটা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সবাই গৃহ পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসার আগে দেশে বিদুৎ উৎপাদনের কী হাল ছিল তা দেশের মানুষ জানে। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে খাম্বার ব্যবসা করতো, এ জন্য দেশের জনগণকে বিদুতের পরিবর্তে খাম্বা দিয়েছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিকে নিয়ে আসি। ২০২০ সালের মধ্যে আমরা ১৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে পারবো।
এফএইচএস/এনএফ/পিআর
Advertisement