জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে সরকারি এবং দলীয়ভাবে এই জন্মশতবার্ষিকী পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। অন্যথায় দলীয়ভাবেই পালন করা হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর বছরব্যাপী কর্মসূচি।
Advertisement
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় সংসদের যৌথ সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কর্মসূচি নির্ধারণে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
নেতারা জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জাতীয়ভাবে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
Advertisement
আওয়ামী লীগের নেতারা জানিয়েছেন, জন্মশত বার্ষিকীর এই কর্মসূচি কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের ওয়ার্ড পর্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করা হবে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষদের নিয়ে আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করা হবে।
দলটির নেতারা জানান, আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববরেণ্য, যারা গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেন, তাদের সবাইকে দাওয়াত দেয়া হবে। এই কর্মসূচি জাঁকজমকপূর্ণ করার জন্য প্রায় দেড় বছর আগে থেকেই সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেবে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন-কর্ম নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন সম্পর্কে যারা জানেন তাদের কাছ থেকে লেখা আহ্বান করা হবে। সে সমস্ত লেখা নিয়ে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া থেকে এই বর্ষব্যাপী কর্মসূচির অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
Advertisement
সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মুকুল বোস বক্তব্য দিয়ে উদযাপন কমিটিতে কমিউনিস্ট রাজনীতি করে আসা কাউকে দায়িত্ব না দেয়ার প্রস্তাব করেন। খেতে খেতে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন মুকুল বোস। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তুমি পানি খাও। পানি খেয়ে তারপর বক্তব্য দাও।
জবাবে মুকুল বোস বলেন, নেত্রী, আমি এখানে কথা বললে অনেকেই মনঃক্ষুণ্ন হবে। তাই আমি বলবো না। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ মনঃক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কথা বলো না।
এইউএ/এনএফ/পিআর