আন্তর্জাতিক

বিপদ বাড়িয়ে অক্সিজেন কমছে থাইল্যান্ডের সেই গুহায়

থাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহায় আটকা ১২ কিশোর ও তাদের কোচকে কী উপায়ে সেখান থেকে বের করে আনা যায় তা নিয়ে থাই কর্তৃপক্ষের চাপ বাড়ছে। তাদের উদ্ধারে পরিচালিত অভিযানের সময় এক ডুবুরির মৃত্যু ও গুহায় অক্সিজেনের মাত্রা কমার খবরে সেই চাপ আরও বেড়েছে।

Advertisement

কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল চার মাস পর ওই গুহা থেকে পানি নেমে যাওয়ার পর কিশোররা সেখান থেকে পায়ে হেঁটেই বেরিয়ে আসতে পারবেন। ততদিন পর্যন্ত ওই কিশোররা সেখানে নিরাপদে থাকতে পারবেন বলে এতদিন ধারণা ছিল তাদের।

কিন্তু আজ এক ডুবুরির মৃত্যু ও গুহার ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার বিষয়টি উপলব্ধি করার পর কর্তৃপক্ষকে নতুন পরিকল্পনার দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে।

থাই নেভি সিল প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আফাকর্ন ইয়ো-কংক্যাও বলেছেন, গুহার ভেতরে অক্সিজেনের মাত্রা ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। একজন চিকিৎসক বলছেন, অক্সিজেনের এ মাত্রায় হাইপক্সিয়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। উচ্চতার কারণে মানুষের যে অসুস্থতা তৈরি হয় এটাও একই অবস্থার তৈরি করবে। ইয়ো-কংক্যাও বলছেন, এই অবস্থায় গুহার ভেতরে ওই কিশোরদের বেশিদিন রাখা খুব বিপদের কারণ হতে পারে। তাদের গুহার ভেতর থেকে এখনই বের করে আনতে গেলেও যে বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

সাংবাদিকদের তিনি আজ বলেছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে আমরা এখন আর ঠিক সময় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম বেশ লম্বা একটা সময় ওই কিশোরদের গুহার ভেতরে নিরাপদে রাখা যাবে। কিন্তু অবস্থা বদলেছে। আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই। গুহাটিতে বর্তমানে অক্সিজেনের যে মাত্রা রয়েছে তাতে ওই কিশোররা সেখানে কতদিন থাকতে পারবে নির্দিষ্ট করে সে বিষয়ে তিনি কিছু না বললেও সেখানে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহ করাটাকেই এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

কিশোররা গুহার যেখানে আটকা রয়েছে সেখানে অক্সিজেনের ট্যাঙ্ক দিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ২টার দিকে মারা যান সাবেক থাই সিল সার্জেন্ট সামান কুনান।

তার মৃত্যুর জন্য অক্সিজেনের সঙ্কটকেই দায়ী করা হচ্ছে।

Advertisement

থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ চিয়াই রাইয়ের এ গুহাটিতে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আটকা রয়েছে ১২ কিশোর ও তাদের কোচ।

তাদের উদ্ধারে বিশাল অভিযান চলছে।

সিএনএন।

এনএফ/পিআর