শিক্ষকের নিপীড়ন এবং হুমকিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানা গেছে। ওই ছাত্রীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে হল কর্তৃপক্ষ।
Advertisement
তাকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর ছোট ভাই তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, আপুর আগে কখনও এমন হয়নি। তাকে চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকাই নিয়ে যাচ্ছি।
অভিযোগ উঠেছে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবষের ছাত্রী জবা (ছদ্ম নাম) তার বিভাগের এক শিক্ষকের নিপীড়ন এবং হুমকিতে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছেন। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের নাম সঞ্জয় কুমার সরকার।
সূত্রে জানা যায়, ১ জুলাই ভুক্তভোগী ছাত্রী জবা ৩য় সেমিস্টারের ভাইভা পরীক্ষা শেষে কাঁদতে কাঁদতে হলে ফেরেন। এরপর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে তাকে ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সঞ্জয় কুমার সরকার। পর দিন ওই ছাত্রী আবার শিক্ষক সঞ্জয় কুমার সরকারের কাছে গেলে তিনি কক্ষে ডেকে বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে বলে জবা তার বন্ধুদের জানান।
Advertisement
আরও জানা যায়, গত বছর ১৬ সেপ্টেস্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের একটি অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে অভিযুক্ত শিক্ষক সঞ্জয় কুমারের বিরুদ্ধে গভীররাতে ফোন করা এবং ফোনে ম্যাসেজ পাঠানোসহ উত্যাক্তের অভিযোগ করেন জবার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী রুপা (ছদ্মনাম) এরপর উপাচার্য এ বিষয়ে ওই শিক্ষককে সতর্ক করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সঞ্জয় কুমার জবাকে ইন্ধনদাতা ভেবে ওই ছাত্রীকে কক্ষে ডেকে বিভিন্ন হুমকি দেয়।
পরে ২য় সেমিস্টার পরীক্ষায় ওই শিক্ষক জবাকে ১২৩ ও ১২৫ নং কোর্সে ফেল করিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জবা ফেল করার বিষয়ে বিভাগের কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলতে দেখে সঞ্জয় কুমার তাকে আবারও রুমে ডেকে বিভিন্ন হুমকি দেন।
এ বিষয়ে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, উপাচার্য আমাকে ডেকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। তবে অন্য সব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর রশিদ আসকারী সাংবাদিকদের বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Advertisement
ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/এমএএস/পিআর