খেলোয়াড় নেইমারকে ছাপিয়ে এখন আলোচনায় ‘অভিনেতা’ নেইমার। একটু ছুঁলেই পড়ে যাচ্ছেন, ফাউল হওয়ার পর যতটা না দরকার তার চেয়ে বেশি কাতরাচ্ছেন-অভিযোগ অনেকের। ব্রাজিল সুপারস্টারের কান্ডে বিরক্ত পুরো ফুটবল বিশ্ব। দারুণ খেলার পরও তাকে নিয়ে সমালোচনা তাই চলছেই।
Advertisement
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ২৩ বার ফাউলের শিকার হয়েছেন নেইমার। ব্রাজিল কোচ তিতে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। দলের সেরা তারকাকে প্রতিপক্ষ বারবার ট্যাকল করলে, কার না দুশ্চিন্তা হবে! রাগও তো লাগার কথা!
তবে তিতের এই রাগ লাগার উপায় নেই। রাগ করে কিছু বলতে গেলেই যে ‘কেঁচো খুড়তে বেরিয়ে আসবে সাপ।’ ছয় বছর আগের ঘটনা নিশ্চয়ই এত তাড়াতাড়ি ভুলে যাওয়ার কথা না ব্রাজিল কোচের।
২০১২ সালের ঘটনা, নেইমারের বয়স তখন ২০। ব্রাজিল কোচ তিতে তখন ছিলেন করিন্থিয়াসের কোচ। এই দলের এমারসন শেখ নামের একজন ফুটবলার ফাউল করেছিলেন নেইমারকে, তারপর সুনিপুণ অভিনয়ে তাকে কার্ড পাইয়ে দেন ব্রাজিল তারকা। যে ম্যাচের পর নেইমারকে রীতিমত ধুয়ে দিয়েছিলেন তিতে।
Advertisement
সেদিন ২০ বছর বয়সী নেইমারকে নিয়ে তিতে বলেছিলেন, ‘আজ আমরা দেখলাম নেইমার কিভাবে পড়ে যায়, কিভাবে ঘুরতে থাকে। যখন প্রতিপক্ষ দলকে শাস্তি দেয়া হয়, তখন সে এমনভাবে উঠে দাঁড়ায় যে কিছুই হয়নি। এটা খুব ভালো ছিল! এভাবে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করা কিছুতেই খেলার অংশ হতে পারে না। শিশুরা, আমার ছেলে এবং যারা এটা দেখছে তাদের জন্য এটা খুবই বাজে উদাহরণ।’
সেদিন ক্ষোভের চোটেই এই কথাগুলো বলেছিলেন তিতে। তবে এখন তিনি অনেকটাই নিশ্চুপ। ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের স্বপ্নটা যে নেইমারের কাঁধেই। এমন সময়ে মুখ খুললে তো বিপদে পড়বে তারই দল।
এমএমআর/পিআর
Advertisement