আন্তর্জাতিক

সিসির ‘রাজকীয় প্রস্তাব’ প্রত্যাখ্যান মুরসির

মিসরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে তার পরিবারসহ বিদেশে থাকার এক ‘রাজকীয় প্রস্তাব’ দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি।

Advertisement

প্রস্তাবে বলা হয়েছে- মুরসি যদি পরিবারসহ মিসর ছাড়েন, তাহলে বিদেশে তাকে ‘সুখ ও আরাম-আয়েশের জীবন’ উপহার দেয়া হবে। কিন্তু সিসির এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন মুরসি।

মুরসির পুত্র আব্দুল্লাহ আল-জাজিরাকে বলেছেন, নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হলেও তার বাবাকে এখনও আটক করে রাখা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মুরসির ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে এবং তিনি তা নাকচ করে আসছেন। মিসরের বর্তমান স্বৈরশাসককে মেনে নেয়ার জন্যে তাকে বলা হচ্ছে। সর্বশেষ মিসরের বাইরে অন্যকোনো দেশে পরিবারসহ বাস করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

২০১৩ সালের ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিসরের সামরিক জান্তা। পরে তাকে আটক করা হয়। তবে কোথায় কোন কারাগারে তাকে আটক করে রাখা হয়েছে তা জানেন না বলে অভিযোগ করে আসছে মুরসির পরিবার। সর্বশেষ মুরসির সঙ্গে মিসরের তোরা কারাগারের পরিবারের সদস্যদের দ্বিতীয়বারের মতো সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়।

Advertisement

২০১৩ সালে মুরসিবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে মিসর। এর প্রেক্ষাপটে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা।

এ ঘটনার এক বছর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে জয়ী সিসি প্রথম মেয়াদে চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন। চলতি বছরের মার্চে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে আবারো নির্বাচিত হন সিসি। যদিও নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪১ শতাংশ ভোটার।

গত জানুয়ারিতে সিসির শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিরা নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মাত্র একজন প্রার্থী। তবে এই প্রতিযোগী সিসির প্রবল সমর্থক বলে অভিযোগ রয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় সিসির প্রধান প্রতিযোগী ও বিরোধীদলীয় এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই নেতার নির্বাচনী প্রচারণা টিমের ম্যানেজারকে ব্যাপক মারপিট করা হয়। পরে হুমকির মুখে অন্যান্য প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেন।

Advertisement

এমবিআর/এমএস