ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর অপরিহার্য। ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে সৃষ্ট মেধাকে বাণিজ্যিকীকরণ করতে পারলে ২০৩০ সাল নাগাদ এগুলোই এসডিজির মূলভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের গভর্নমেন্ট ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এবং পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ (জিইডি) আয়োজিত এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনাবিষয়ক জাতীয় সম্মেলনের প্যারালাল সেশন-২ এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজার আনিস চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ডিজিটাল কানেকটিভিটি দরকার। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি মানুষ ডিজিটাল কানেকটিভিটির আওতায় আসবে।
Advertisement
মোস্তাফা জব্বার বলেন. বাংলাদেশ আজ বিশ্বে বিস্ময়কর অগ্রগতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ১৯০তম অর্থনীতির দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে ৪২তম অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশের কাতারে পৌঁছে গেছে। তার এই নেতৃত্ব অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে ২০টি উন্নত দেশের কাতারে সামিল হবে।
প্যারালাল সেশন-২ অনুষ্ঠানে ডাক. টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ে পর্যালোচনা হয়। তথ্য সচিব আবদুল মালেক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর শিকদার এবং আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মামুনুর রশীদ নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন অধিদফতর ও সংস্থার এসডিজিবিষয়ক বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন এবং এসডিজি বাস্তবায়নে মতামত প্রদান করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে উন্নয়ন কাজে সম্পৃক্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিরা এসডিজি বাস্তবায়ন বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
প্রধান তথ্য অফিসার কামরুন নাহারসহ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাসমূহের প্রধানগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Advertisement
এমএ/বিএ