ক্যাম্পাস

কোটা আন্দোলন নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়ায় মারধর

কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলামকে মারধর করেছে ছাত্রলীগের একাংশ। এছাড়া মেহেদী হাসান নির্ণয় নামের আরও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের সামনে ও জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি ফখরুল রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে মেহেদী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাখা ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মির্জা ফখরুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়। এর জেরে ছাত্রলীগকর্মীরা তাকে আলাওল হলের সামনে মারধর করে। একই কারণে মেহেদী হাসান নামের ওই শিক্ষার্থীকেও তারা মারধর করে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

Advertisement

চবি মেডিকেল সেন্টারের দায়িত্বরত চিকিৎসক টিপু সুলতান জাগো নিউজকে বলেন, মির্জা ফখরুল পায়ে চোট পেয়েছে। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।

শাখা ছাত্রলীগ নেতা সাদাফ খবির জাগো নিউজকে বলেন, মেহেদী হাসান ও মির্জা ফখরুল ইসলাম কোটা আন্দোলনের গ্রুপে প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগ নিয়ে বাজে মন্তব্য করে। এছাড়া বিভিন্ন বিতর্কিত স্ট্যাটাস শেয়ার করতো। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগকর্মী মামুন, জোবায়ের, শহীদ, সাব্বিরসহ আরও পাঁচ-ছয়জন মিলে তাদের মারধর করে।

এ বিষয়ে ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মির্জা ফখরুল বলেন, আমি রাতে হলে টিভি দেখছিলাম। এমন সময় কয়েকজন আমাকে ডেকে নিয়া কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা (এসআই) সবুর বলেন, জিরো পয়েন্ট এলাকায় ও আলাওল হলের সামনে থেকে মেহেদী হাসান ও ফখরুল নামের দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করি। পরে তাদের সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আবদুল্লাহ রাকীব/বিএ