আইন-আদালত

দুর্নীতির মামলায় খালেদার আপিল নিষ্পত্তিতে রিভিউ শুনানি ৯ জুলাই

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ড নিয়ে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা সংক্রান্ত আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানির জন্য ৯ জুলাই দিন ঠিক করেছেন চেম্বারজজ আদালত।

Advertisement

একই সঙ্গে, রিভিউ আবেদনের বিষয়ে আগামী ৯ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবীর করা রিভিউ আবেদনে শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর চেম্বারজজ আদালত এই আদেশ দেন।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এ কে এম এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিব্রান। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম ও অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির।

এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া চার মাসের জামিন বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে, খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যে আপিল দায়ের করেছিলেন, তা ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন আপিল আদালত। ওই আপিল নিষ্পত্তিতে ৩১ জুলাই বেঁধে দেয়া সময় আরও বাড়ানোর জন্য আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

Advertisement

আজ বৃহস্পতিবার সেই আবেদন চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য আসে। কিন্তু আদালত আবেদনটির শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে ৯ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করে দেন।

প্রসঙ্গত, দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

তবে, খালেদা জিয়াকে অন্তত আরও ছয়টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। তাই কারামুক্তির জন্য সব মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। এ মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি, নড়াইলে একটি ও বাকি দুটি ঢাকার।

তবে, এরই মাঝে কুমিল্লার নাশকতার একটি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া খালেদার জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এখন মুক্তি পেতে হলে আরও পাঁচটি মামলায় জামিন পেতে হবে।

Advertisement

এফএইচ/জেডএ/পিআর