অর্থনীতি

‘জিএসপি প্লাস’ পেতে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে হবে

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হওয়ার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এখন ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধার আওতায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লিয়নি কিউলিনিয়ার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওনবাজারে বিজিএমইএ অফিসে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ড দূতাবাসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কারখানারগুলোর সংস্কার হয়েছে যার মাধ্যমে কর্মপরিবেশের উন্নয়ন হয়েছে। ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল জরিপে সারাবিশ্বে যে দশটি সেরা ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’ নির্বাচন করেছে তার সাতটিরই অবস্থান বাংলাদেশে। সব মিলিয়ে দেশটির তৈরি শিল্পের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ইইউসহ নেদারল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশের পোশাক খাতকে উন্নয়নে সহযোগিতা করে আসছে। আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হচ্ছে। এখন তাদের 'জিএসপি প্লাস' এর সুবিধা আদায়ে কাজ করতে হবে। ইইউ দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়তে হবে। তাদের জানতে হবে 'জিএসপি প্লাস' সুবিধা দিতে ইইউ দেশগুলো কি চায়। এজন্য এখন থেকেই কাজ করতে হবে।

Advertisement

এ সময় বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লিয়নি প্রশংসা করে বিজিএমইএ এর সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ২০১৬ সালে জুলাইয়ে হলি আর্টিসান হামলার পর সন্ত্রাসী হামলার ভয়ে সারা বিশ্বের পর্যটকরা বাংলাদেশে ভ্রমণ থেকে বিরত থকে। কঠিন ওই সময়ে নেদারল্যান্ডের এই রাষ্ট্রদূত আমাদের পক্ষ নিয়ে বলেছিলেন; বাংলাদেশ সন্ত্রাসীদের দেশ নয়, এ দেশের কোথাও সন্ত্রাসীদের স্থান নেই।

বিজিএমইএ এর সভাপতি বলেন, গত ৫ বছরে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শিল্পে রূপান্তর ঘটেছে। আমাদের পোশাক শিল্প এখন বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ ও স্বচ্ছ শিল্পখাত। পশ্চিমা বিশ্বে এখনও আমাদের নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। আমরা আসা করছি নেদারল্যান্ডের বিদায়ী এ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সত্যিকারের তথ্য তুলে ধরবে। একই সঙ্গে 'জিএসপি প্লাস' সুবিধা পেতে পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দেবেন।

এসআই/এমআরএম/জেআইএম

Advertisement