কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক দ্রব্যের বিশেষ আইনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা মামলা স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আগামী ০৮ জুলাই দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
একই সঙ্গে ওইদিন এই মামলায় জামিনের বিষয়েও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জাগো নিউজকে জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
মামলায় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে খালেদার আবেদন শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলমের সময় চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আগামী রোববার শুনানির দিন ধার্য করেন বলেও জানান আইনজীরা।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ দুই মামলায় শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করে আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে খাালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সঙ্গে ছিলেন কায়সার কামাল, একেএম এহসানুর রহান, অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যার্টনি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে গত ২৮ মে কুমিল্লার নাশকতার দুই মামলায় ৬ মাসের জামিন পান বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ জামিনের আদেশ দেন।
২০১৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতিকারীদের বাসের পোড়ানোর ঘটনায় মামলা করা হয়।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। সেই থেকে তিনি পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ওই মামলায় আপিলের পর খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। যেটি গত ১৭ মে বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
Advertisement
খালেদা জিয়াকে অন্তত আরও ছয়টি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে জানান তার আইনজীবীরা। তাই কারামুক্তির জন্য সব মামলায় তাকে জামিন পেতে হবে। এ মামলাগুলোর মধ্যে কুমিল্লায় তিনটি ও নড়াইলে একটি এবং বাকি দুটি ঢাকার। এসব মামলার মধ্যে কুমিল্লার এই মামলাটিও রয়েছে।
তবে, এরই মাঝে কুমিল্লার নাশকতার একটি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া খালেদার জামিন বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এখন মুক্তি পেতে হলে আরও পাঁচটি মামলায় জামিন পেতে হবে।
এফএইচ/এমআরএম/জেআইএম