জাতীয়

এমপিওভুক্তির কার্যক্রম হবে দ্রুত : প্রধানমন্ত্রী

স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে টানা ১০ দিন ধরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। এই অনশনে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অনশনের আগে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। গত ২৪ দিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা।

Advertisement

এই এমপিওভুক্তির বিষয়ে বুধবার জাতীয় সংসদে আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে এমপিওভুক্ত করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১ জারি করা হয়েছে। এই নীতিমালা অনুসরণ করে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির (মানথলি প্যামেন্ট অর্ডারের আওতায়) বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন- টানা ২২ পৃষ্ঠা পড়ে শোনালেন প্রধানমন্ত্রী!

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের জবাবে এমপিওভুক্তির বিষয়ে এই আশ্বাস দেন তিনি।

Advertisement

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির লক্ষ্যে অনলাইন এপ্লিকেশন গ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা এবং বিধিমতে প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের জন্য পৃথক দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন- তৈরি পোশাক খাতে রফতানি আয় ৮২ শতাংশ

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে সারাদেশে ১ হাজার ৬২৪টি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থানসহ শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা নতুন জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে শতভাগ বেতন পাচ্ছেন। বর্তমান সরকারে দ্বিতীয় মেয়াদের ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়-কলেজ ও মাদরাসার সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৬ জন শিক্ষক কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন- এমপিওভুক্তি ভালো প্রোগ্রাম নয় : অর্থমন্ত্রী

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন থেকে নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ২৫ জুন থেকে তারা আমরণ অনশনরে ঘোষণা দেন।

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে এ আন্দোলনে গত ১০ দিন ধরে আমরণ অনশনও করছেন তারা। তাদের পাশাপাশি মঙ্গলবার আরও বৃহত্তর কর্মসূচির হুমকি দেয় শিক্ষক- কর্মচারীদের আরেকটি গ্রুপ। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলন করে হুমকি দেন স্বাধীনতা নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন- সংসদের সবাইকে আম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী

এদিন জাতীয় প্রেস ক্লাবে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন ঠাকুরগাঁও- ৩ (পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল) আসনের সংসদ সদস্য ওয়ার্কার্স পার্টির অধ্যাপক ইয়াসিন আলী। বেলা পৌনে ২টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উপস্থিত হন তিনি। পরে সেখানে সংহতি প্রকাশ ও দাবি বাস্তবায়নে জোরালো ভূমিকা রাখার কথাও বলেন তিনি।

আরও পড়ুন- বোমা-গ্রেনেড মোকাবেলা করেই এগিয়ে যাচ্ছি : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি ন্যায্য তারা বছরের পর বছর বিনা বেতনে চাকরি করছেন যা অমানবিক। সরকারের উচিত দাবি মেনে নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। এর আগে ২ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন লেখক, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

এইচএস/জেডএ/এমএস