প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মোট রফতানি আয়ের ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এটি দেশের অর্থনীতিতে আয়ের অন্যতম প্রধান খাত।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ এ খাতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানির ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২০১৫-১৮ মেয়াদে গৃহীত রফতানি-আমদানি নীতির ধারাবাহিকতায় ২০১৮-২১ মেয়াদের জন্য অনুরূপ নীতি প্রণয়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে ময়মনসিংহ-৯ আসনের আনোয়ারুল আবেদীন খানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৈরি পোশাক খাতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের পদক্ষেপসমূহ হচ্ছে, তৈরি পোশাক রফতানির বিদ্যমান বাজার সুসংহত ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে ব্রাজিল, মেক্সিকো, দক্ষিণ আফ্রিকা, চিলি এবং রাশিয়াসহ অপরাপর উন্নত দেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল পাঠানো হচ্ছে, ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প স্থাপনে আর্থিক ও বিভিন্ন ধরনের উৎসাহ দেয়া হচ্ছে এবং বর্তমানে চাকরি নেই কিন্তু ভবিষ্যতে এ খাতে কাজ করতে যাচ্ছে এমন যুব শ্রেণি এবং এ খাতের দক্ষ মিড লেভেল ম্যানেজার সংকট দূর করতে প্রশিক্ষণ নীতিমালা ও মডিউল প্রণয়নের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।
Advertisement
সংসদ নেতা আরও বলেন, শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি করে পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদের মজুরি ও ভাতা নির্ধারণের জন্য ‘জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫’ গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির মাধ্যমে অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতনও শিগগিরই পুনর্নির্ধারণ করা হবে।
বগুড়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম ওমরের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। বেসরকারি শিক্ষকরাও এর বাইরে নয়। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বেতন পাচ্ছেন ১০০ ভাগ, স্কুল ও কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদার সমতা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং শিক্ষা কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নের ২০১৫ সালের জুলাই থেকে এমপিও কার্যক্রমের বিকেন্দ্রীকরণ ও এবং অনলাইনভিত্তিক করা হয়েছে। এছাড়া এবতেদায়ি শিক্ষকদের বেতন প্রতি মাসে ৫০০ থেকে বাড়িয়ে এক হাজারে উন্নীত করা হয়েছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশের মোট ১৪২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ৪০টি বেসরকারি কলেজ সরকারি করা হয়েছে।
আর যেসব উপজেলায় কোনো সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ নেই সেখানে একটি করে মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং একটি কলেজ সরকারিকরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ কার্যক্রমের আওতায় আরও ১৭৯টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ২৯৮টি কলেজ সরকারিকরণের কার্যক্রম চলছে।
এইচএস/এএইচ/জেআইএম
Advertisement