বাংলাদেশ থেকে ইউনিসেফের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নেপাল ঘুরে এসেছেন নানজীবা খান। তিনি একাধারে ট্রেইনি পাইলট, সাংবাদিক, পরিচালক, উপস্থাপক, লেখক, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর, বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর, ইউনিসেফ তরুণ প্রতিনিধি এবং বিতার্কিক।
Advertisement
খুবই কম বয়সে তিনি নেপালে ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়া আয়োজিত ‘তরুণ প্রজন্মের উন্নয়ন’ বিষয়ক ৩ দিনের সেমিনারে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর পক্ষ থেকে সমস্যা ও সমাধানের পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তবে ভ্রমণের ক্ষেত্রে এটিই প্রথম নয়; ২০১৭ সালেও তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিএনসিসি ক্যাডেট অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ভারতে ১১টি দেশের সামনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
নানজীবা খান গত ২৫ জুন বাংলাদেশ থেকে বিমানযোগে রওনা হন। নেপাল ভ্রমণ শেষে ২৯ জুন দেশের মাটিতে পা রাখেন। এবারে তার অভিজ্ঞতা একটু ভিন্ন। কারণ এবার তিনি বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন ইউনেস্কো, ইউএন, ইউনিসেফসহ বিভিন্ন দেশের স্বনামধন্য প্রতিনিধিদের সামনে।
> আরও পড়ুন- ভ্রমণকাহিনিতে সেরা রাঙ্গামাটির মুমু
Advertisement
নানজীবা খান বলেন, ‘ইউনিসেফের প্রতিনিধি হতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। বিদেশের অনুষ্ঠানে দেশেকে তুলে ধরতে পারা সত্যিই একটি টার্নিং পয়েন্ট।’
নেপালে এই প্রথম ভ্রমণ তার। সত্যিই ভালো লেগেছে এ ভ্রমণ। তিনি বলেন, ‘নেপালে শিক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে- ওখানে পুরুষের তুলনায় নারীরা কাজ করে সবচেয়ে বেশি। সেখানকার সব দোকানের বিক্রেতা নারী। জীবনের প্রথম নারী চানাচুরওয়ালা দেখেছি নেপালে।’
নেপালের সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে নানজীবা বলেন, ‘সে দেশের মানুষ খুবই শান্ত স্বভাবের। রাস্তায় নারীদের কেউ উত্ত্যক্ত করে না। অথচ নারীদের পোশাক কমবেশি শর্ট হয়ে থাকে। নেপালের রাস্তাগুলোও আমাদের গুলিস্তানের মতো, পাহাড়ি এলাকা বলে কোনো ডিভাইডার নেই। গাড়ি চালানোর সময় হর্ন দেয় খুব কম। গাড়িগুলো দেখতেও ছোট ছোট। অনেক মেয়েই সেখানে বাইক চালায়।’
উল্লেখ্য, নানজীবা খান বর্তমানে ‘অ্যারিরাং ফাইং স্কুল’ এ ‘ট্রেইনি পাইলট’ হিসেবে অধ্যয়ন করছেন। বিটিভির নিয়মিত উপস্থাপক, ব্রিটিশ আমেরিকান রিসোর্স সেন্টারের ব্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন। তার লেখা প্রথম বই ‘অটিস্টিক শিশুরা কেমন হয়’। প্রামাণ্যচিত্রের জন্য পেয়েছেন ইউনিসেফের মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড।
Advertisement
এসইউ/এমএস