ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও প্রার্থীদের বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরী ও প্রহরীর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে বেশি টাকা দিয়েছে তারই নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছে। যোগ্যতা বা বয়স, নৈশ প্রহরায় উপযুক্ত কিনা এ সব কোনো বিষয় দেখেনি নিয়োগ কমিটি।
Advertisement
এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই-বাছাই করে নিয়োগ বাতিলে দাবি করে ভুক্তভোগীরা মঙ্গলবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নিয়োগ পরীক্ষার আগেই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২২টি বিদ্যালয়েই নিশ্চিত করা হয় দফতরী ও প্রহরী। সে অনুযায়ী তালিকা প্রস্তুত করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের হাতে তালিকা দেয়া হয়। মৌখিক পরীক্ষা ও অন্যান্য কার্যক্রম ছিল শুধুই আইওয়াস। পরীক্ষার শেষে বিকালেই ফলাফল ঘোষণা কথা থাকলেও ফলাফল পাল্টে কমিটির পছন্দের ব্যক্তিদের নাম লিখে রাত ১১টার পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ভুক্তভোগীরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, গত ২৮ জুন ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন উপজেলার ২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দফতরী ও প্রহরী পদে ২২ জন প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়। পশ্চিম বাহিরচর ১২ মাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়া হয় হোটেল ব্যবসায়ী সোহাগ হোসেনকে। চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থীর বয়স ১৮-৩০ বছর বলা হলেও সোহাগকে ৩৫ বছরে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার সার্টিফিকেট এবং বয়সে গড়মিল আছে বলে অভিযোগ করেছে ওই বিদ্যালয়েরই আরেক প্রার্থী বিপ্লব হোসেন খাঁ। একই চিত্র বামনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাহিরচর সোনালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই। যা তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে এবং যোগ্যতর প্রার্থীরা নিয়োগ পাবে।
Advertisement
এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাসুদ করিমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
আল-মামুন সাগর/আরএ/আরআইপি