খেলাধুলা

পিকফোর্ড এখন ইংল্যান্ডের জাতীয় বীর

ইংল্যান্ডে এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আয়োজন করা হলে এবং সেখানে যদি জর্ডান পিকফোর্ডকে প্রার্থী বানিয়ে দেয়া হয়, তাহলে নিশ্চিত বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হবেন তিনি। কোনো জরিপ-টরিপের প্রয়োজন নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রবেশ করলেই টের পাওয়া যাবে ইংল্যান্ডে এখন কতটা জনপ্রিয় পিকফোর্ড। টাইব্রেকারে একটি শট ঠেকিয়ে দিয়েই রাতারাতি সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডে এখন রীতিমত জাতীয় বীর।

Advertisement

কঠিন এক শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি পাস করতে হয়েছে তাদের। হ্যারি কেইনের পেনাল্টি গোলের বদৌলতে এগিয়ে গিয়ে যখন জয়োৎসবের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ইংলিশরা, তখনই সর্বনাশটা করে দিয়েছিলেন ইয়েরি মিনা। বার্সেলোনায় খেলা কলম্বিয়ান এই ডিফেন্ডার উচ্চতার কারণেই হেড করে সহজে গোল করতে পারেন। সেটাই করে দেখালেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে এবং তাতেও বিজয়ী নির্ধারণ না হওয়ায় দ্বারস্থ হতে হয় টাইব্রেকারের। সেখানে বাজিমাত করে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। কলম্বিয়ান তারকা কার্লোস বাক্কার শট বাজপাখির মত ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন পিকফোর্ড। এরপর এরিক ডায়ারের গোল করার মধ্য দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো ইংল্যান্ড।

তার আগে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইংল্যান্ডের জর্ডান হেন্ডারসনের শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক ডেভিড ওসপিনা। কিন্তু পরের শটে এসেই কলম্বিয়ান মাতেউস উরিব শট মিস করে ফেলেন। তিনি মেরে দেন পোস্ট বরাবর। পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে। জালে জড়ায়নি। শেষ যখন জর্ডান পিকফোর্ড বাক্কার শট ঠেকিয়ে দিলেন, তখনই প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইংল্যান্ডের জয়।

Advertisement

পিকফোর্ডের আদর্শ, ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক পিটার শিলটন সঙ্গে সঙ্গে প্রশংসায় ভাসান পিকফোর্ডকে। তিনি লেখেন, ‘গৌরবান্বিত পারফরম্যান্স পিকফোর্ড। কী অসাধারণ একটি ফল! পিকফোর্ডকে নিয়ে যাদের সন্দেহ ছিল, সবার অন্তরই এখন শূন্য হয়ে গেছে। আমরা এখন শ্যুটআউটেও জিততে পারি।’

লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ওই সময় টুইট করে বলেন, ‘আবেগ, অধ্যাবসায় একং পিকফোর্ড। কলম্বিয়ার বিপক্ষে এমন ভয়ঙ্কর ম্যাচে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডকে ধন্যবাদ।’

বিবিসি রেডিও-টু এর উপস্থাপক জেরেমি ভাইন যোগ করেন, ‘যদি জর্ডান হেন্ডারসন তার বাম হাতটা ব্রেক্সিটে স্পর্শ ঘটান, তাহলে নিশ্চিত তা খুব সহজ হয়ে যেতো।’

তবে সাধারণ সমর্থকরা টুইটার ভরে ফেলেছেন তাদের ওয়াল। সেখানে তারা একটাই দাবি জানাচ্ছেন, ‘পিকফোর্ডকে নাইটহুড উপাধি দেয়া হোক।’ শুধু তাই নয়, তারা ইতিমধ্যেই পিকফোর্ডকে ‘স্যার’ উপাধিও দেয়া শুরু করে দিয়েছেন।

Advertisement

আইএইচএস/আরআইপি