আন্তর্জাতিক

নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের জালান লঙ্গাক দুতা এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে নাজিব রাজাককে গ্রেফতার করে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)। আজ সকালে কুয়ালালামপুর হাইকোর্টে নাজিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

Advertisement

গত মে মাসের ৯ তারিখে সাধারণ নির্বাচনে দেশটিকে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করা নেতা মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে যান নাজিব রাজাক। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই মাহাথির মোহাম্মদ এক ঘোষণায় জানান যে, ওয়ানএমডিবি বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও তদন্ত শুরু করবেন তিনি।

এর আগে নাজিব রাজাক এবং তার স্ত্রী রোজমা মানসুরের মালিকানাধীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং হ্যান্ডব্যাগ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।

ওয়ানএমডিবি নামের একটি রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়। জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি।

Advertisement

দুর্নীতির অভিযোগে বলা হয় যে নাজিব রাজাক ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু এই অভিযোগ তিনি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

মে মাসের নির্বাচনে নাজিবের পরাজয়ের পেছনে দুর্নীতির অভিযোগ এক বড় কারণ ছিল বলে মনে করা হয়। নির্বাচনের পর নাজিবকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার দেশের বাইরে ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার দুই মাস পার হতে না হতেই গ্রেফতার হলেন নাজিব রাজাক।

তার বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে তিনটি ও ক্ষমতার অপব্যবহারজনিত কারণে আনা আরেকটি অভিযোগের শুনানি হয়েছে।

অভিযোগের শুনানিকালে নাজিব নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ২০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। বুধবার কুয়ালালামপুরে হাইকোর্টের সামনে শত শত মানুষ নাজিব রাজাককে দেখতে জড়ো হন।

Advertisement

এমএসিসির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মঙ্গলবার নাজিবকে গ্রেফতারের পর কুয়ালালামপুরের বাইরে মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় এমএসিসির সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে রাত কাটাতে হয়েছে। সেখান থেকে পরে বুধবার সকালে তাকে আদালতে নেওয়া হয়।

টিটিএন/আরআইপি