রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় ব্যাংককে ৩ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। প্রায় সাড়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খেলাপি ঋণের বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংককে এ পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদয় করতে হবে। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় এ পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত মার্চ মাস পর্যন্ত ছয়টি রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৬৮৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে, একই সময়ে এই ব্যাংকগুলোর বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪১৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। এই হিসেবে ব্যাংকের মোট বিতরণ করা ঋণের ২৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ঋণই খেলাপি হয়েছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। গত অর্থবছরে সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯২০ কোটি টাকা।
জনতা ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৭ হাজার কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ৫৮০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। গত অর্থবছরে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭২৫ টাকা।
Advertisement
অগ্রণী ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ৬৫০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে। গত অর্থবছরে অগ্রণী ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১২৫ কোটি টাকা।
রূপালী ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ১ হাজার ৩৫ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে।
বেসিক ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে মোট ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ১৫০ কোটি আদায় করতে হবে।
বিডিবিএলের মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ৭০০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে চলতি অর্থবছরে ব্যাংকটিকে মোট ১২০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ আদায় করতে হবে।
Advertisement
এমইউএইচ/এমবিআর/আরআইপি