এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ঢাকার চারপাশের নদীর স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখতে সরকার সমন্বিত মাস্টার প্ল্যানের দ্বারপ্রান্তে। শিগগিরই এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হবে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদী দূষণ রোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি সংক্রান্ত কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ঢাকার চারপাশের নদী ও কর্ণফুলী দূষণে পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাসমূহকে দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, নাব্যতা না থাকলে নদী তার গতিপথ হারাবে। শুষ্ক মৌসুমে যেমন পর্যাপ্ত পানি প্রবাহ থাকবে না তেমন বর্ষা মৌসুমেও তীরবর্তী অঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও বন্যা দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি বাস্তুসংস্থানের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়বে।
মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিতভাবে এ মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান নদীসমূহের দূষণ রোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদী তীর অবৈধ দখলমুক্ত রাখার ওপর জোর দিয়ে বলেন, জনগণের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা এ অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে পারে।
পানি সম্পদ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নদী রক্ষায় দ্রুতগতিতে এ মাস্টার প্ল্যান গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার আহ্বান জানান।
Advertisement
এমইউএইচ/এএইচ/এমএস