বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘আইয়ুব খানের শাসনামলে শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাসের সূচনা হয়। আইয়ুবের মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্রের দাবিতে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করার লক্ষ্যেই সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ন্যাশনাল স্টুডেন্টস ফেডারেশন (এনএসএফ) নামে ছাত্রসংগঠনের জন্ম। এনএসএফ-এর ক্যাডাররা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাবিসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে সম্প্রতি কোটা সস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের উপর হামলা করে ছাত্রলীগ সেই পাকিস্তানের এনএসএফ’কেও হার মানিয়েছে।’
Advertisement
গতকাল সোমবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী পতাকা মিছিল ও বিক্ষোভ করতে জড়ো হলে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বেশ কিছু কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ করেন আন্দোলনকারীরা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের ওপর ওই হামলা, গ্রেফতার-নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিকদের সমাবেশের ডাক দেয়া হয়। সমাবেশ শুরু হতেই বাধা দেয় পুলিশ।
তবে বাধার মুখেই ‘শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার বিচার কর, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক প্রজ্ঞাপন জারি কর’ লেখা ব্যানার নিয়ে সমাবেশ করে গণতান্ত্রিকব বাম মোর্চা।
Advertisement
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আইয়ুব খান সকল গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। আমরা ছাত্র সমাজ তা ছিন্ন করে কর্মসূচি পালন করেছি। অথচ স্বাধীন দেশে এসে আজ সচেতন নাগরিক সমাজ ও উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের উপর হামলার ঘটনা সেই পাকিস্তানীদেরও হার মানিয়ে দিচ্ছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খানের প্রতি ইঙ্গিত করে বাসদ সভাপতি বলেন, একবার রাজাকার হলে সে চিরদিন রাজাকার থাকে। তবে মুক্তিযোদ্ধা একবার হলে তিনি সারাজীবন মুক্তিযোদ্ধা থাকেন এমন নয়। কারণ খন্দকার মোস্তাকও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু তিনি জাতির পিতাকে হত্যা করে খুনি হয়েছেন। তাকে আর কেউ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান করে না। সুতরাং মনে রাখতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান।
জেইউ/এসএইচএস/জেআইএম
Advertisement