বিশ্বাসভঙ্গ ও ফৌজদারী অপরাধসহ বেশ কিছু অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন গ্রেফতারকৃত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইনের আওতায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির আইনজীবীরা।
Advertisement
সন্ত্রাসবিরোধী কাজে অর্থায়ন ও বেআইনী কার্যকলাপ সম্পর্কিত দেশটির ২০০১ সালের এক আইনের ৪০৯ দণ্ডবিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত হতে পারেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এ আইনের আওতায় নাজিব রাজাক ও তার স্ত্রী দাতিন সেরি রসমাহ মনসুরের বাসভবন থেকে উদ্ধারকৃত বিপুল পরিমাণ বিলাসবহুল অলঙ্কার ও অর্থের উৎস জানতেও তদন্ত শুরু হয়েছে।
গত মাসে প্রায় ২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থ এবং হ্যান্ডব্যাগ উদ্ধার করা হয় নাজিব রাজাকের বাসভবন থেকে। ওয়ানএমডিবি নামের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিলের দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে এগুলো জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন : নাজিব রাজাক গ্রেফতার
Advertisement
জব্দ করা সম্পদের মধ্যে রয়েছে ১৬ লাখ ডলার মূল্যের স্বর্ণ এবং হীরার নেকলেস, ১৪টি টায়রা, ১৪০০ নেকলেস, ৫৬৭ হ্যান্ডব্যাগ, ৪২৩টি ঘড়ি, ২২০০টি আংটি, ১৬০০ ব্রোচ এবং ২৩৪টি সানগ্লাস। পুলিশ বলছে, মালয়েশিয়ার ইতিহাসে একবারে এত বিপুল পরিমাণ মূল্যবান সামগ্রী কখনো বাজেয়াপ্ত হয়নি।
গত ২৭ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে বুকিত আমানের কমার্শিয়াল অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিচালক দাতুক সেরি অমর সিং বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অ্যান্টি মানি লন্ডারিং আইনে নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলছে।
বুধবার স্থানীয় সময় সকালের দিকে কুয়ালালামপুরের আদালত ভবনে নাজিব রাজাককে হাজির করা হবে। এই আদালতেই সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হবে।
আরও পড়ুন : গুহায় আটকা শিশুদের প্রশ্ন : আমরা কী বাইরে বের হতে পারবো?
Advertisement
এর আগে মঙ্গলবার কুয়ালালামপুরের জালান লঙ্গাক দুতা এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে নাজিব রাজাককে গ্রেফতার করা হয়। তবে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ আনা হতে পারে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেব্যাপারে কোনো নিশ্চিত তথ্য দেননি অমর সিং।
গত ৯ মে মালয়েশিয়ার ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে দেশটিকে দীর্ঘ সময় ধরে শাসন করা নেতা মাহাথির মোহাম্মদের কাছে হেরে যান নাজিব রাজাক।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই মাহাথির মোহাম্মদ ওয়ানএমডিবি বিনিয়োগ তহবিলের শত শত কোটি ডলার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবারও তদন্ত শুরুর ঘোষণা দেন। ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে ৭০ কোটি ডলার আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করা হলেও বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন নাজিব রাজাক।
এসআইএস/জেআইএম