আমদানি করা চাল দ্রুত খালাসের দাবিতে ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীদের বাধার মুখে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
Advertisement
দ্বিতীয় দিনের মতো মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় ট্রাক চালক ও সহকারীরা অবস্থান নিয়ে পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশে বাধা দেয়। এতে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতীয় ট্রাকের চালক ও সহকারীরা জানান, এক মাসের বেশি সময় ধরে তারা চালবাহী ট্রাক নিয়ে হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ সব ট্রাকের চাল খালাস করা হয়নি। সেই থেকে তারা এখানেই অবস্থান করছে। তাদের কাছে থাকা টাকাও শেষ হয়ে গেছে। ফলে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। চাল খালাস না করে তারা ভারতে যেতে পারছে না। এ কারণে তারা সোমবারে বন্দরের সড়কে অবস্থান নিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেন।
পরে ভারতের হিলি এক্সপোটার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন হিলির চাল আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে। আলোচনা সাপেক্ষে চাল খালাসের ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে অবরোধ তুলে নেয়ার অনুরোধ করেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা অবরোধ তুলে নিয়েছিল।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালেও চাল খালাসের কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আবারও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তারা। ফলে আমদানি- রফতানি বন্ধ হয়ে গেছে। চাল খালাস না হওয়া পর্যন্ত তারা বন্দরে কোনো ধরনের কার্যক্রম চালাতে দেবে না।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, আলোচনা সাপেক্ষে চাল খালাসের আশ্বাস দিয়েছিল ভারতীয় এক্সপোটার্স। সে কারণে সোমবার তারা অবরোধ তুলে নিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সকালে চাল খালাস না হাওয়ায় তারা আবারও সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এ জন্য হিলি আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে। সোমবার অবস্থান নেয়ার আগে বন্দর দিয়ে ১০টি ট্রাক বিভিন্ন পণ্য নিয়ে বন্দরে প্রবেশ করে।
এমদাদুল হক মিলন/আরএ/পিআর
Advertisement