আইন-আদালত

চসিক মেয়রসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

কর্ণফুলী নদী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

একইসঙ্গে কেন তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন ছাড়াও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চিফ এক্সিকিউটিভ ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

Advertisement

মনজিল মোরসেদ জানান, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত ২০১০ সালে মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিট করা হয়। রিটের চূড়ান্ত শুনানি করে হাইকোর্ট ১১ দফা নির্দেশনা দেন। নির্দেশনায় ৯০ দিনের মধ্যে বিবাদীদের নদীর জায়গা থেকে স্থাপনা উচ্ছেদ করা এবং জলাধার সংরক্ষণ আইনের ৫, ৮, ৬ (ঙ) ১৫ ধারার বাস্তবায়ন করতে বলেন।

২০১৬ সালের ১৬ আগস্টের এ রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও আজ পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল উচ্ছেদের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। সে পরিপ্রেক্ষিতে আটজনকে গত ২৫ জুন সংগঠনটির পক্ষ থেকে আদালত অবমননার নোটিশ পাঠিয়ে সাত দিনের মধ্যে আদালতের রায় অনুযায়ী কর্ণফুলী নদী তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অনুরোধ জানানো হয়।

মনজিল মোরসেদ বলেন, আমরা নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে গত ২ জুলাই আদালত অবমাননার মামলা করি। আদালত শুনানি নিয়ে উক্ত রুল জারি করেন।

প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট আদালতের নির্দেশে কর্ণফুলী নদীতে জরিপ করে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার ১৮৭টি অবৈধ দখল ও স্থাপনা পাওয়া যায়। যা উচ্ছেদে আদালত রায় দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।

Advertisement

এফএইচ/জেএইচ/পিআর