গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচির আওতায় সরকারি অর্থে নিজের পুকুর সংস্কার করছেন একজন তৃণমূল জনপ্রতিনিধি। এ মনই ঘটনা ঘটে পার্বত্য খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নে। সম্প্রতি ওই প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় তিনি আগামী সাত দিনের মধ্যে নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন অভিযুক্ত ইউপি সদস্যকে।
Advertisement
জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ‘জাবেদ আলীর বাড়ি থেকে কাশেমের বাড়ি পর্যন্ত মাটি ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ’ প্রকল্পের অনুকূলে এক লাখ ১৮ হাজার ২১৫ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা উত্তোলন করলেও প্রকল্পের কাজ না করে সে টাকায় নিজের বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাছ চাষের জন্য ব্যক্তিগত পুকুর সংস্কার করছেন প্রকল্প চেয়ারম্যান মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহ আলম ভুঁইয়া (সজীব)।
সম্প্রতি প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহীদুল ইসলাম। এ সময় স্থানীয়রা জানান, টিআর প্রকল্পের আওতায় এখানে কোনও কাজই হচ্ছে না। তবে মাস দুয়েক আগে কর্মসৃজন প্রকল্পের আওতায় এ সড়কে নারী শ্রমিকদের দিয়ে কাজ করানো হয়েছে।
এ সময় প্রকল্প প্রধান ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহ আলম ভুঁইয়া (সজীব) প্রকল্পের কাজ চলছে দাবি করে ৪০০-৫০০ গজ সামনে গিয়ে বন্যায় ভেঙে যাওয়া একটি পুকুরের পার মেরামতের কাজ দেখান দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। দেখা যায় সে পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য বাঁশ দিয়ে বেড়া তৈরির কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক।
Advertisement
তবে স্থানীয়দের দাবি, পুকুরটি ইউপি সদস্য সজীবের। তিনি সরকারি টাকায় নিজের পুকুর সংস্কার করেন।
বিষয়টি জানার পর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে নির্ধারিত প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মো. শহীদুল ইসলাম ।
অপরদিকে অভিযোগের বিষয়ে মেরুং ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহ আলম ভুঁইয়া (সজীব) বলেন, পুকুরটি নিজের হলেও এ পুকুরের পাড় দিয়ে স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াত করে। তাই পুকুরের ভেঙে যাওয়া পাড় প্রকল্পের টাকায় মেরামত করছেন।
এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মো. শহীদুল ইসলাম বলেস, এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে কাজ আদায় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যে সকল প্রকল্পের কাজ এখনও করা হয়নি সে সব প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থ বা খাদ্যশস্য ছাড় না দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Advertisement
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/আরএ/পিআর