মতামত

কোটা সংস্কার : সমস্যার দ্রুত, গ্রহণযোগ্য সমাধান হোক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের হামলার বিষয়ে কিছুই জানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এই আশ্বাসে আমরা আশ্বস্ত হতে চাই। প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধরনের সহিংসতা কাম্য নয়। এটি শুধু শিক্ষার পরিবেশকেই বিনষ্ট করে না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্যের সাথেও বেমানান।

Advertisement

গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে সংগঠিত ঘটনাগুলোর বিষয়ে গতকাল সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে প্রক্টর অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এছাড়া গত শনিবার ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্হাগারের সামনে গঠিত ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের কেউ অভিযোগ করেনি। শনিবারের হামলার নিয়ে আমরা কাজ করছি। কারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করব আমরা। এছাড়া শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তবে ওইদিনে (শনিবার) ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজ করছে জানিয়ে প্রক্টর বলেন, ‘শনিবারের হামলার নিয়ে আমরা কাজ করছি। কারা হামলা করেছে তাদের চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া শৃঙ্খলা বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ এসব কথা যেন কেবল কথার কথা না হয়।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে। যেটা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। সংস্কারের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদের কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেছিলেন। সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন জারি হবে বলে আন্দোলনকারীরা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে আল্টিমেটাও দেয়া হয়।

কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি কাজ করছে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হচ্ছে। অন্যদিকে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় আন্দোলকারীরা হতাশ। তারা নানা কর্মসূচি দিচ্ছে। কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হামলার শিকার হচ্ছে। গ্রেফতারের ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থায় কোটা সংস্কারের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা অত্যন্ত জরুরি। এ নিয়ে কোনো সংঘাত সহিংসতা কাম্য নয়। কোনো পক্ষেরই বাড়াবাড়ি করা উচিত হবে না। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ উপায়েই সমস্যার দ্রুত, গ্রহণযোগ্য সমাধান হোক।

Advertisement

এইচআর/আরআইপি