অনানুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে বাংলাদেশ ভবনের একাংশ। আপাতত লাইব্রেরি কক্ষটিই খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ভবনে প্রতিনিয়ত দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
Advertisement
গত ২৫ মে বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে যোগ দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যৌথভাবে শান্তিনিকেতনের বাজিপোড়ার মাঠে নির্মিত বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন।
বিশ্বভারতীতে নবনির্মিত বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন হওয়ার ১ মাস সাতদিন অতিবাহিত হলেও এই ভবনটি পুরোপুরি খুলে দিতে সক্ষম হননি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সবুজকলি সেন জাগো নিউজকে জানান, দুই বিঘা জমির ওপর চারটি শাখা নিয়ে তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ ভবন। এখানে রয়েছে বাংলাদেশ জাদুঘর, স্টাডি রুম, ইন্টারন্যাশনাল অডিটোরিয়াম ছাড়াও বৃহৎ লাইব্রেরি। তিনি বলেন, ভবন সাজানোর জন্য কিছু কাজ বাকি আছে। পুরো কাজ শেষ হলে সবই খুলে দেয়া হবে। আমরা বাংলাদেশ ভবনের চাবি হাতে পেয়েছি। বাংলাদেশ জাদুঘরে মূল্যবান বহু জিনিসপত্র রয়েছে। জানালা দরজায় এখনো কাঁচ লাগানো শেষ হয়নি। আশা করছি দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।
Advertisement
বাংলাদেশের উপ-রাষ্ট্রদূত তৌফিক হাসান জানান, জুলাই মাসের মধ্যেই পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে বাংলাদেশ ভবন। লাইব্রেরিতে ৩ হাজার বই দেয়া হয়েছে। সেখানে আরও ৩ হাজার বই দেয়া হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ মিউজিয়ামের অভ্যন্তরে নিরাপত্তার কিছু বিষয় বাকি থাকায় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেয়া সম্ভব হয়নি।সমস্ত কাজ শেষ হতে চলতি বছরের জুলাইয়ের ১৫ তারিখ হয়ে যেতে পারে বলে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মনে করছেন।
এমআরএম/এমএস
Advertisement