বিনোদন

প্রসংশায় ভাসছে রিয়াজ-তানিয়ার ‘কলুর বলদ’

একটা নাটকের কথা মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। দর্শকের প্রসংশায় ভাসছে নাটকটি। মিডিয়ার আড্ডাতে উঠে এসেছে নাটকটির নাম। প্রতিদিনই অসংখ্য নাটক প্রচার হয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে। মাঝে মধ্যে কিছু কিছু নাটক হয় আলোচনার শিরোনাম। সম্প্রতি প্রচার হওয়া এমনই একটি নাটক রিয়াজ-তানিয়া অভিনীত ‘কলুর বলদ’।

Advertisement

এবারের ঈদুল ফিতরে চ্যানেল আইয়ে প্রচার হয় মেজবাহ উদ্দিন সুমন রচিত ও সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত নাটক ‘কলুর বলদ’। প্রচারের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বমহলে নাটকটি এসেছে আলোচনায়। গত ২০ জুন চ্যানেল আই তাদের ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশ করে নাটকটি। এরই মধ্যে সাড়ে ৭ লক্ষরও অধিক বার দেখা হয়েছে এটি।

নাটকটি কেন পছন্দ করছেন দর্শক? কী আছে এই নাটকে? কলুর বলদের গল্পে একটু চোখ বুলালেই সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। প্রবাসী এক যুবকের দেশে ফেরার মধ্য দিয়ে ‘কলুর বলদ’ নাটকটির গল্প শুরু হয়। গল্পটির প্রধান চরিত্র মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাজু। যে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে পাড়ি দেয়। এদিকে চাকরি থেকে তার বাবা অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে এক বোনের বিয়ে হয়েছে এবং আরো দুজন ছোট ভাই-বোন আছে রাজুর।

পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি বলতে বড় ছেলেটিই। যার কারণে বাধ্য হয়ে ভালো আয় রোজগারের আশায় বিদেশে পাড়ি জমায় সে। দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে রাজু দেশে টাকা পাঠায়। তার উপার্জিত অর্থে বাবা দেশে বাড়ির কাজ শুরু করেন। তা ছাড়া পুরো পরিবারের খরচও বহন করে রাজু। প্রেমিকা শোভাকে না বলে বিদেশ গিয়েছিল সে। যাওয়ার সময় শোভার জন্য একটি চিঠি রেখে গিয়েছিল।

Advertisement

মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের জন্য কাপুরুষের মতো নিজের ভালোবাসাকে বিসর্জন দেয় রাজু। দীর্ঘদিন বিদেশে থেকে দেশে ফিরেছে সে। দেশে ফেরার পর বাবা, ভাই, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই জিজ্ঞেস করে ‘আবার কবে বিদেশে ফিরে যাবি’। বাবার তাগিদ বাড়িটির আরেক তলা উঠাতে হবে, মেয়েটির বিয়ে দিতে হবে, ছোট ছেলেটিকে মেডিক্যালে ভর্তি করাতে হবে। এজন্য আরো টাকা লাগবে।

শুধু মা আর শোভা চায় রাজু বিয়ে করে দেশে সেটেল হোক। রাজু নিজেও দেশে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার ভাবনা নিয়েই দেশে ফিরেছে। কারণ দীর্ঘ সময় আপনজনদের কাছ থেকে দূরে থেকে রাজু অনেক ক্লান্ত। কিন্তু সবার চাওয়া আর রাশি রাশি সমস্যার সামনে নিজের কোনো ইচ্ছের কথাই আর বলতে পারে না। নিজের সমস্ত চাওয়া, স্বপ্ন, ভালোলাগা, হৃদয়ের খুব গোপনে লালিত কষ্ট অগোচরে জমা রেখেই আবার বিদেশে চলে যায় রাজু। তারপর কী হয়? নাটকেই দেখতে হবে।

নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন বলনে, ‘‘সামাজকি দায়বদ্ধতা থেকেই এমন একটি নাটক নির্মাণ করার চেষ্টা করেছি। প্রবাসীরা আমাদের অর্থনৈতিক ভাবেেএগিয়ে নিচ্ছেন। তাদের না বলা কথাই আমি এই নাটকটির মাধ্যমে বলতে চেয়েছি । নাটকটি নিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ।’’

নাটকটিতে রিয়াজ আহমেদ ও তানিয়া আহমেদ ছাড়াও আরও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মামুনুর রশিদ, দিলারা জামান , আজম খান,হিমি হাফিজসহ আরও অনেকে।

Advertisement

এমএবি/এলএ/পিআর