বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করা বসুন্ধরা পেপারের শেয়ার লেনদেন শুরু হয়েছে আজ (২জুন’২০১৮)। প্রথম দিনেই প্রথম আধঘণ্টার লেনদেনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৮১ শতাংশ।
Advertisement
এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রাথমিক দাম (অ্যাডজাস্টমেন্ট ওপেনিং প্রাইজ) নির্ধারণ করা হয় ৮০ টাকা। তবে প্রথম লেনদেনেই দাম উঠে যায় ১৫৫ টাকায়।
এরপর দাম কিছুটা কমে ১৩৬ টাকায় চলে আসে। তবে এরপর আবার দাম বাড়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৪৪ টাকা ৯০ পয়সা। সে হিসাবে দাম বেড়েছে ৬৪ টাকা ৯০ পয়সা বা ৮১ শতাংশ। আর শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকার।
‘এন’ গ্রুপের আওতায় ডিএসইতে বসুন্ধরা পেপারের লেনদেন হচ্ছে। ডিএসইতে কোম্পানিটির ট্রেডিং কোড নির্ধারণ করা হয়েছে ‘বিপিএমএল’, আর কোম্পানি কোড ১৯৫১২।
Advertisement
এর আগে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসা এই কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ৮০ টাকা। এ দামে প্রতিষ্ঠানটি ১২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এরপর আইপিওতে ১০ শতাংশ কমে প্রতিটি শেয়ার ৭২ টাকা দামে ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।
এ জন্য গত ৩০ এপ্রিল থেকে ৯ মে পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আইপিওর আবেদন নেয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা মোট ৬৮৩ কোটি ৪৬ লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ টাকার আবেদন করেন। সে হিসাবে কোম্পানিটির শেয়ারে ৮ দশমিক ১১ গুণ বেশি আবেদন জমা পড়ে। ফলে আইপিওর মাধ্যমে কোম্পানির শেয়ার পাওয়া বিনিয়োগকারী নির্ধারণ করতে লটারির ব্যবস্থা করা হয়। গত ৩০ মে সেই লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ জুন কোম্পানির আইপিওর লটারিতে বরাদ্দ প্রাপ্ত শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে জমা হয়। তারপর গত সপ্তাহে ডিএসই ও সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়।
এর আগে বসুন্ধরা পেপার চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন পায়।
উল্লেখ্য, শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলন করা টাকা দিয়ে বসুন্ধরা পেপার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছে এএএ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেষ্টমেন্টস।
Advertisement
এমএএস/এমএমজেড/পিআর