অর্থনীতি

সিঙ্গেল ডিজিটের সুদহার বাস্তবায়নে গভর্নরের সঙ্গে বসছেন ব্যাংকাররা

দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ (সোমবার) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ব্যাংকে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে ব্যাংকার্স সভায় ডেপুটি গভর্নরসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারাও অংশগ্রহণ করবেন।

Advertisement

একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালকরা চলতি জুলাই থেকে সুদহার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্যাংকগুলো এটি কিভাবে বাস্তবায়ন করবে -এটাই হবে বৈঠকে আলোচনার মূল ইস্যু। এছাড়া তারল্য সঙ্কট, নতুন আমানত সংগ্রহ, খেলাপি ঋণ কমানোসহ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের নতুন মুদ্রানীতি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

গত ২০ জুন ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা দেয় বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদে ঋণ এবং ছয় শতাংশ সুদে তিন মাস মেয়াদি আমানত নেয়া হবে।

এদিকে সম্প্রতি সুদহার কমানোর বিষয়ে গভর্নরের সঙ্গে বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এর একটি প্রতিনিধি দল অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করে।

Advertisement

এ বিষয়ে এবিবি চেয়ারম্যান ও বেসরকারি ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পর্ষদের সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করতে প্রস্তত। আমরা আমাদের অভিভাবক বাংলাদেশ ব্যাংকে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছি। জুলাই থেকে নতুন বিনিয়োগের সুদ হার ৯ শতাংশ হবে। এটি জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে আমাদের তারল্য যোগান দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকারি আমানত ৫০ শতাংশ বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেটি এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। তাছাড়া সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে তারল্য রয়েছে। এসব তারল্যের অংশ আমাদের বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে আসতে হবে। আর সেটি ৫ থেকে ৬ শতাংশ সুদে। এর বেশি সুদ যাতে সরকারি ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান তহবিল যোগানে না চায় সেটি সরকারিভাবে জানিয়ে দিতে হবে। বৈঠকে এবিবির প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা চান।

এবিবির প্রস্তাবটি সরকারের সংশ্লিষ্ট পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন গভর্নর। দেশের ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও দিকনির্দেশনা ঠিক করতে তিন মাস পরপর এমডিদের নিয়ে ব্যাংকার্স সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এসআই/আরএস/পিআর

Advertisement