খেলাধুলা

স্পেনকে বিদায় করার নায়ক গোলরক্ষক আকিনফিভ

টাইব্রেকার মানে গোলরক্ষকের কঠিন এক পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় কখনও কখনও গোলরক্ষক নিজেই হয়ে যান পরীক্ষক। পরীক্ষায় ফেলে দেন প্রতিপক্ষের হয়ে শট নিতে আসা ফুটবলারকে। তখন দেখা যায়, যিনি শট নিতে আসেন তিনি হয়ে যান বিভ্রান্ত। গোলরক্ষক তখন নিজে তো কঠিন পরীক্ষায় পাস করে ফেলেনই, সঙ্গে দলকেও বাঁচিয়ে দেন কঠিন বিপদ থেকে।

Advertisement

রাশিয়ার ইগোর আকিনফিভ তেমনই এক গোলরক্ষক। যার সামনে পরাস্ত হয়েছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন। তিনি বিভ্রান্ত করতে পেরেছেন স্পেনের দুই স্ট্রাইকার কোকে এবং ইয়াগো আসপাসকে। যে কারণে তারা কিভাবে টাইব্রেকারের শট নেবেন, সেটা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি।

পুরো ম্যাচে ১১’শর বেশিবার পাস, ১০২৯বারের মত বল টাচ করেও, ১৭টি টার্গেটেড শট নিয়েও রাশিয়াকে গোল দিতে পারেনি স্পেন। রাশিয়ার বাস পার্ক করা রক্ষণ দেয়াল ভেঙে যে ক’টি বল ছুটে এসেছিল, সেগুলোকে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। স্পেনের মুহূর্মুহু আক্রমণের সামনে চীনের মহাপ্রাচীরের মত বিশাল দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।

শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারে গড়ায় তখন শেষ মুহূর্তের নায়কে পরিণত হন আকিনফিভ। কোকের শটটি তিনি ঠেকিয়ে দেন বামপ্রান্তে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ইয়াগো আসপাসের শট ঠেকাতে বামে ঝাঁপিয়ে পড়লেও তার পা সচল ছিল। পেছন থাকা পা দিয়ে ঠেকিয়ে দিলেন আসপাসের শটটি। সঙ্গে সঙ্গেই বিজয়ের আনন্দে নেচে ওঠে পুরো লুঝনিকি স্টেডিয়াম।

Advertisement

১৯৯১ সাল থেকে খেলছেন আকিনফিভ। তখন থেকেই রাশিয়ান চ্যাম্পিয়ন সিএসকেএ মস্কোর হয়ে খেলে যাচ্ছেন তিনি। ২০০২ সাল পর্যন্ত খেলেছেন সিএসকেএ মস্কোর ইয়থ টিমে। এরপর ২০০৩ থেকে আজও তিনি রয়েছেন সিএসএকেএ মস্কোর পোস্টের নিচে অতন্ত্র প্রহরী হিসেবে। ক্লাব ক্যারিয়ারে ৩৯৭টি ম্যাচে তিনি দাঁড়িয়েছেন পোস্টের নিচে। রাশিয়া জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন ২০০৪ থেকে। এখনও পর্যন্ত খেলে ফেলেছেন ১১০টি ম্যাচ।

আইএইচএস/জেএইচ