বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ব্রিটেনের প্রায় দুইশতাধিক কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে। বিনিয়োগের পরিমাণও অনেক। ব্রিটেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাবার পর (ব্রেক্সিটের পর) বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য আরও বাড়বে। বর্তমানে উভয় দেশের বাণিজ্য প্রায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্রিটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রফতানি বাজার।
Advertisement
রোববার (১ জুলাই) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দফতরে ঢাকায় সফররত যুক্তরাজ্যের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ডের সঙ্গে মতো বিনিময়ের পর তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে ব্রিটেন বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস সুবিধা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ব্রিটেনও বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশ আশা করছে, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে।
তোফায়েল বলেন, বিশ্বের মধ্যে অর্থনীতিতে ৪২তম বাংলাদেশ। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ ২৮তম দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। নিজ অর্থায়নে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। নিজের অর্থায়নেই পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। দেশের বাজেট এখন বিদেশি সাহায্যের ওপর নির্ভর নয়। নারীর ক্ষতায়নে এ অঞ্চলের মধ্যে এগিয়ে বাংলাদেশ।
Advertisement
ব্রিটিশমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মহৎ কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এজন্য ব্রিটেন বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞ। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের পাশে আছে। এ ক্ষেত্রে ব্রিটেন সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ ব্রিটেনে বাস করেন। উভয় দেশের সম্পর্ক শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ব্রিটেন ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পরও উভয় দেশের চলমান বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
সভায় বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসু, ব্রিটেনের জেন্ডার সমতা বিষয়ে স্পেশাল রিপ্রেজেনটেটিভ ফরেনসেক্রেটারি জোয়ান্না রিপার, ঢাকার ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার কানবার হুসেইন বরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/এএইচ/পিআর
Advertisement