দেশজুড়ে

ঠিকাদারদের সিডিউল কিনতে বাধা দিলেন হাইওয়ে পুলিশ সুপার

ফরিদপুরে হাইওয়ে পুলিশের স্টেশনারি মালামাল সরবারহের সিডিউল কিনতে বাধা দিয়েছেন মাদারীপুর জোনের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। মালামাল সরবরাহের জন্য গত ১০ জুন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিলেও পুলিশ সুপারের পছন্দের বাইরের কোনো ঠিকাদার হাইওয়ে পুলিশ অফিস থেকে সিডিউল কিনতে পারেনি।

Advertisement

রোববার একাধিক ঠিকাদার সিডিউল কিনতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গেলেও তাদের কাছে সিডিউল বিক্রি করা হয়নি। এমনকি অফিসে ঢুকতে পর্যন্ত দেয়া হয়নি। রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রির সময় ছিল। খবর পেয়ে দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাব থেকে প্রায় ১০জন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত হন। হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা সাংবাদিকদেরও অফিসে ঢুকতে দেননি। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সেখান থেকে সাংবাদিকেরা ফিরে আসেন।

দুপুর আড়াইটার দিকে সিডিউল কিনতে এসে মাহাবুব এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মো. তুহিন মিয়া জানান, গত বছর সকল মালামাল আমি সাপ্লাই দিয়েছি। কিন্তু এবার আমাকে অফিসের ঢুকতে দেয়া হয়নি। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পর থেকে আমি অনেকবার এসেছি কিন্তু আমার কাছে সিডিউল বিক্রি করেনি। তারা তাদের পছন্দমত ঠিকাদারের কাছে সিডিউল বিক্রি করেছে। এছাড়া বারবার আসায় আমার মোটরসাইকেল আটক করে হয়রানী করেছে। গত তিন বছর এই অফিসে আমার যাতায়াত এতদিন কিছু না বললেও সিডিউল কিনতে চাওয়ায় আমার ড্রাইভিং লাইসেন্সের জরিমানা করেছে।

সিডিউল কিনতে এসে ফেরত যাওয়া ঠিকাদার কাউছার আকন্দ ও সোহেল জানান, রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। কিন্তু কাউকেই সিডিউল কিনতে দেয়া হয়নি। পুলিশ পাহাড়া বসানো হয়েছে। ভেতরে প্রবেশও করতে দিচ্ছে না সিডিউলও কিনতে দিচ্ছে না। জানি না ভেতরে ভেতরে এসপি কি করছেন।

Advertisement

সেখানে কর্তব্যরত হাইওয়ে পুলিশের এসআই রবিউল ইসলাম জানান, জানি না স্যারের কী হয়েছে। আমাকে শুধু বলেছে আমার বাপ আসলেও ভেতরে ঢুকতে দিবে না। ভেতরে যাইতে চাইলে স্যারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করুন।

সাংবাদিকদের কয়েক দফা অনুরোধে অফিস থেকে নেমে আসেন হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সিরাজুল ইসলাম। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, সিডিউল বিক্রির ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। এই সবই এসপি স্যার নিজে দেখছেন। ভেতরে প্রবেশ বিষয়ে তিনি বলেন, এখন প্রবেশ করতে এসপি স্যারের নিষেধ রয়েছে।

এ দিকে হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে সাংবাদিকরা একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করলেও মোবাইল রিসিভ করেননি পুলিশ সুপার।

আরএ/এমএস

Advertisement