জাতীয়

‘আন্দোলনে শিক্ষকের প্রাণ গেলে দায় শিক্ষামন্ত্রীর’

এমপিওভুক্তির দাবিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ রোববার সপ্তম দিনের মতো আমরণ অনশন পালন করছেন। এতে অসুস্থ হয়ে গেলে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

আন্দোলনরত শিক্ষকরা বলছেন, আন্দোলনে কোনো শিক্ষকের প্রাণ গেলে তার দায় শিক্ষামন্ত্রীকে নিতে হবে।

অনশন শুরুর পরের অন্যদিনগুলোর মতো আজও প্রেসক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে বসে কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা টানা ৭ দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা ঢাকায় এসে এ আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।

Advertisement

নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক শিক্ষক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৪০ জনকে স্যালাইন দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে। ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ বিণয় ভূষণ রায়, মো. গোলাম মোস্তাফা, মো. ফেরদ্দৌস আলম, আলী প্রামাণিক, আব্দুল কুদ্দুস।

এ ছাড়াও গত কয়েকদিনে ৯ জন শিক্ষক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ফিরে আবারো আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।

সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার জাগো নিউজকে বলেন, আমরা হঠাৎ করে রাস্তায় বসে আন্দোলন শুরু করিনি। পর্যায়ক্রমে ২৭ দফায় আন্দোলন করেও আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, তারপরও বাস্তবায়ন করা হয়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেটি বাস্তবায়নে আমরা আন্দোলনে যুক্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের যৌক্তিক ও ন্যায্য দাবি আদায়ে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ কারণে ১০ জুন থেকে আন্দোলন করে যাচ্ছি। গত সাতদিন ধরে আমরণ আনশন পালিত হচ্ছে। যদি এ আন্দোলনে কোনো শিক্ষকের প্রাণ যায় তবে এর দায়ভার শিক্ষামন্ত্রীকে নিতে হবে।

Advertisement

এমএইচএম/এনএফ/আরআইপি