আর্টিসানের হামলার পর বিদেশি ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও কূটনীতিকরা শঙ্কা বোধ করে অনেকেই দেশ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিল। আমরা জীবন দিয়ে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে তাদের আস্থা ফিরিয়েছি, জঙ্গিদের প্রতিরোধ করেছি।
Advertisement
রোববার সকালে গুলশান দুই নম্বর সড়কে আর্টিসানে নিহত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিনের স্মরণে নির্মিত দীপ্ত শপথ উদ্বোধনের পর ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আর্টিসানের হামলা ছিল জাতি ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। আমরা ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। আমাদের দুইজন অফিসার মারা গিয়েছিল কিন্তু আমরা তাদের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করেছি। জঙ্গিদের গ্রেফতার করেছি, অনেক ভিক্টিমকে উদ্ধার করেছি। গুলশান হামলার পর কমবেশি ৭০টি অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছি, গুড়িয়ে দিয়েছি।’
মামলার তদন্ত নিয়ে তিনি বলেন, ‘গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় অস্ত্রদাতা, জঙ্গিদের আশ্রয়দাতা ও অর্থ বিনিয়োগকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের অভিযুক্ত করে এই সপ্তাহের মধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।’
Advertisement
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। জঙ্গিদের হামলায় ১৭ বিদেশি ও দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২২ জন মারা যান। এর মধ্যে সর্বোচ্চ নয়জন ইতালির নাগরিক ছিলেন। জীবিত জিম্মিদের উদ্ধারে ২ জুলাই হলি আর্টিসানে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এতে হামলাকারী ছয় জঙ্গিও নিহত হন।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটস (আইএস) হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করলেও বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষায়িত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল (সিটিটিসি) ইউনিট দাবি করে, এটি ‘নব্য জেএমবি’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের কাজ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আইএস মতাদর্শী আছে।
গুলশান হামলার সাত দিনের মাথায় শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে হামলা করে জঙ্গিরা। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা, এক নারী ও আক্রমণকারী জঙ্গি নিহত হন।
এআর/এসআর/আরআইপি
Advertisement