জাতীয়

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র : দ্বিতীয় ইউনিটের মূল কাজ শুরু ১৪ জুলাই

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে আগামী ১৪ জুলাই। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের (ফার্স্ট কংক্রিট পৌরিং ডে-এফসিডি) উদ্বোধন করবেন।

Advertisement

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান। তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আশা করি দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ নির্ধারিত ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা শেষ করতে পারব। দ্বিতীয় ইউনিটের উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুতি এগিয়ে চলছে।’

এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন প্রথম ইউনিট ২০২২ সালে এবং একই ক্ষমতার দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৩ সালে চালু হবে। সরকার ২০২৩ সালে প্রথম ও ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট বুঝে নেবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে মূল চুক্তি সই করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন। চুক্তি অনুযায়ী, ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হবে এক লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি (১ হাজার ২৬৫ কোটি মার্কিন ডলার)।

Advertisement

২০১৩ সালের অক্টোবরে রূপপুরে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভিত্তি স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বছরের ৪ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল নির্মাণ কাজের জন্য বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে (বিএইসি) ডিজাইন ও কনস্ট্রাকশন লাইসেন্স দেয় রেগুলেটরি বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (বিএইআরএ)।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদনের দেশগুলোর ক্লাবের (বিশ্ব পরমাণু ক্লাব) সদস্য হয়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) গাইডলাইন অনুযায়ী মূল নির্মাণকাজ শুরুর আগে এ লাইসেন্স গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

রূপপুরের প্রকল্প এলাকায় এক হাজার ৬২ একর জমির ওপর চলছে বিপুল কর্মযজ্ঞ। প্রথম পর্যায়ের বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মিত হচ্ছে রুশ সহায়তায়। এ প্রকল্পে মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশই ঋণ সহায়তা হিসেবে দেবে রাশিয়া। প্রকল্পে রুশ উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পারমাণবিক চুল্লি ব্যবহার করা হবে। একেকটি চুল্লি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন।

Advertisement

আরএমএম/এসআর/আরআইপি