মেক্সিকোর একটি টেলিভিশনের বিশেষজ্ঞ বিশ্লেষক হিসেবে রাশিয়া বিশ্বকাপের ভেন্যুতে ভেন্যুতে ঘুরছেন জামোরানো। যার পুরো নাম লুইস ইভান জামোরানো জামোরা। নামটা চেনা চেনা লাগছে নিশ্চয়ই? চিলির এক দুর্ধর্ষ জুটির কথা মনে আছেতো? সালাস-জাসোরানোর সেই জামোরানো শনিবার আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণ আগে মিডিয়া সেন্টারে ঢুকতেই চারিদিকে হৈচৈ। ওই যে জামোরানো-সুর উঠতেই মিডিয়াকর্মীদের ভিড় তাকে ঘিরে। চললো অটোগ্রাফ ও সেলফি তোলার প্রতিযোগিতা।
Advertisement
ফ্রান্স বিশ্বকাপে মাঠ কাঁপিয়েই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন চিলির এ ফরোয়ার্ড। এত বড় তারকাকে কাছে পেয়ে শুধু কী ছবি তুলে আর অটোগ্রাফ নিয়েই ছেড়ে দেবেন মিডিয়াকর্মীরা? তাইতো ছবি তোলার ফাঁকে ফাঁকে যে যার মতো করে প্রশ্ন শুরু করলেন জামোরানোকে। এই বিশ্বকাপে কোন তারকা ভালো খেলছেন, কোন দলের বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা বেশি। চিলি এবার বিশ্বকাপের উঠতে না পারায় তার প্রতিক্রিয়া কী?-এমন কত কী প্রশ্ন।
চিলির জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৪ বছর। ৬৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩৪ গোল। ছবি তোলা আর নানা প্রশ্নে বিরক্তির কোন ছাপ ছিল না ৫১ বছর বয়সী এ কিংবদন্তী ফুটবলারের। যে চাইছেন সেই পাচ্ছেন ছবি তোলার সুযোগ কিংবা অটোগ্রাফ। এই বিশ্বকাপে কোন দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন? উত্তর দিতে বেশি সময় নেননি জামোরানো। বলে দিলেন-ব্রাজিল। আর মেসি, রোনালদো ও নেইমারের মধ্যে পারফরম্যান্সে এগিয়ে রাখলেন পর্তুগালের সুপার স্টারকে।
প্রশ্ন শুনলেন পেলে-ম্যারাডোনাকে নিয়েও। কে সেরা? চিলির এ সুপার স্টার কারো চাইকে কাউকে খাটো করে দেখলেন না। বললেন-দুইজনই গ্রেট ফুটবলার। একদিন বাদে ব্রাজিল-মেক্সিকো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াই। নিশ্চয়ই ব্রাজিলকে সাপোর্ট করবেন? ‘মেক্সিকো কেন নয়? আমারতো এ দলকেই সাপোর্ট করতে হবে। আমিতো মেক্সিকোর একটি টিভির হয়েই এসেছি’-বলেই হাসি জামোরানোর।
Advertisement
চিলির কোবরেসাল দিয়ে জামোরানোর ক্লাব ফুটবলে অভিষেক ১৯৮৩ সালে। ইউরোপিয়ান রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টারমিলান ও সেভিয়াতেও খেলেছেন স্টাইলিস্ট এ ফুটবলার। জাতীয় দলে তার অভিষেক হয়েছিল ১৯৮৭ সালে।
আরআই/জেএইচ