দেশজুড়ে

বরিশাল সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণা শুরু

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগেই প্রচারণায় নেমেছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে মিছিল মিটিং মাইকিং না করলেও সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে নিজেদের নির্বাচিত করার জন্য স্ব-স্ব এলাকার ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ও ২ জুলাই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুলাই। ১০ জুলাই দেয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। ভোটগ্রহণ হবে ৩০ জুলাই।

Advertisement

প্রচারণায় গতবারের নির্বাচিত কাউন্সিলররা তাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে আবার নির্বাচিত করার জন্য স্ব-স্ব এলাকার ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর যারা প্রথমবারের মতো কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন তারা বিজয়ী হতে পারলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিচালনা করবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্ব থেকে সৌজন্য সাক্ষাতের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীরা। বর্তমান কাউন্সিলরদের কাছে সৌজন্য সাক্ষাতে প্রাধান্য পাচ্ছে নিজস্ব বলয়ের ভোটাররা। এমনকি এ সাক্ষাতে কাউন্সিলররা ভোটের দিন কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করার জন্য এজেন্ট ও প্রচারণার টিম তৈরি করছেন।

১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণার তেমন সময় না থাকায় আগেভাগেই সবকিছু তৈরি রাখতে দিনরাত কাজ করছেন তারা। সৌজন্য সাক্ষাতে পুরাতন কাউন্সিলর প্রার্থীরা অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের সুযোগ চাচ্ছেন এবং নতুন প্রার্থীরা নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার আশ্বাস দিচ্ছেন। নুতন কাউন্সিলর প্রার্থীরা বলেন, জনগণ যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যোগ্যতাসম্পন্ন ও কর্মক্ষম নেতৃত্ব বেছে নিতে পারে এ জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানান।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ১ম প্যানেল মেয়র কেএম শহীদুল্লাহ বলেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে আবারও প্রার্থী হয়েছেন। নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করবো। তবে ভোটাররা সৎ যোগ্য শিক্ষিত এবং কর্মক্ষম ব্যক্তিকে বেছে নিলে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজ।

Advertisement

একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী জানান, ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণার তেমন সময় না থাকায় আগেভাগেই সবকিছু তৈরি রাখতে দিনরাত কাজ করছেন তারা। তাবে তারা প্রচারণা চালাচ্ছে না। সামনে কেউ পড়ে গেলে তার সঙ্গে কথা বলে দোয়া নিচ্ছেন। এটাকে প্রচারণা বলা ঠিক হবে না বলে জানান, কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

বরিশাল সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল জানান, সৎ যোগ্য শিক্ষিত ও কর্মক্ষম প্রার্থীকে বেছে নিলে নির্বাচন পরবর্তী ভোটারদের চাহিদার প্রতিফলন ঘটবে বলে তিনি মনে করেন।

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে ৪০ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১৫২ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ১১৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিপরীতে রয়েছেন ৩৮ প্রার্থী। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ২১ হাজার ৩৩২ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ২০ হাজার ৬২৭ জন।

সাইফ আমীন/এমএএস/এমএস

Advertisement