আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মনোনয়নের দেয়ার ক্ষেত্রে আমরা তৃণমূলের মতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আগামীতেও সকলের মতামত নিয়ে আমরা মনোনয়ন দেব। ইতোমধ্যে আমরা সার্ভে করে যাচ্ছি। তারপরও আমরা যাকে দিই, আমাদের ঐক্য বজায় রাখতে হবে। সেটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
Advertisement
শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও দল সমর্থিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্যদিয়ে সভার সূচনা হয়। শুরুতে শোকপ্রস্তাব উপস্থাপন করেন দলের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। পরে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সভাপতি হিসেবে নিজের বক্তব্যের পর তৃণমূল নেতাদের কথা শোনেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। বিশেষ বর্ধিত সভার সমাপনী বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ইউনিয়নের নেতারা মিটিংয়ের পর সুন্দর করে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠান। ওই প্রস্তাবগুলো আমি নিজেই পড়ি এবং তাদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। সংগঠন করতে হলে সেভাবেই করতে হবে।
Advertisement
শেখ হাসিনা বলেন, নৌকার যেন বিজয় হয়। রাজাকার, খুনি, এতিমের টাকা যারা আত্মসাতকারী, অর্থপাচার কারী, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকের বিষয়টা প্রচার করবেন। আমরা যে উন্নয়ন করেছি তা গ্রামগঞ্জের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। তা এখন থেকে বলতে হবে। কাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে সেটা বড় কথা নয়, নৌকা মার্কায় আপনাদের ভোট চাইতে হবে।
তিনি বলেন, সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলবেন আর উন্নয়ন প্রকল্পগুলো যাতে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হয় সেদিকে আপনারা লক্ষ্য রাখবেন। আপনারা গণভবনে এসে গণভবনের মাটিকে ধন্য করেছেন। গণভবন মানেই হলো জনগণের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিটি গ্রামকে শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই আমরা। এবারও বাজেটে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে আমরা সবচেয়ে বেশি বাজেট দিয়েছি।
এইউএ/বিএ/এমএস
Advertisement