লাইফস্টাইল

এক সপ্তাহেই ফর্সা হওয়ার ঘরোয়া উপায়

গায়ের রঙ উজ্জ্বল হলেও অনেক সময় সেই উজ্জ্বলতা মলিন হয়ে যায়। এর কারণ হিসেবে রোদ, ধুলোবালি তো রয়েছেই, সেইসঙ্গে যত্নের অভাবেও গায়ের রঙ মলিন হতে পারে। তবে ঠিকভাবে যত্ন নিলে মাত্র এক সপ্তাহেই ফর্সা রঙ পাওয়া সম্ভব। এর জন্য বাড়তি কোনো খরচেরও দরকার পড়বে না। ঘরে থাকা বিভিন্ন উপাদান দিয়ে সহজেই ফিরে পেতে পারেন আপনার ত্বকের কাঙ্ক্ষিত রঙ।

Advertisement

টমেটোতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় লাইকোপেন নামক একটি উপাদান, যা সব ধরনের ত্বকের দাগ মিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মৃত কোষের স্তর সরিয়ে দেয়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। ১-২টি টমেটো ব্লেন্ডারে দিয়ে তার সঙ্গে ২ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন: চুল ভাঙার সমস্যায় যা করবেন

অল্প করে অ্যালোভেরা জেল নিয়ে তাতে পরিমাণমতো বাদাম গুঁড়া মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিফেলুন। তারপর সেই মিশ্রণটি ভালো করে মুখে লাগিয়ে কম করে ১৫-৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেল ত্বককে ফর্সা করার পাশপাশি নানাবিধ স্কিন ডিজিজের প্রকোপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Advertisement

পরিমাণ মতো দইয়ে অল্প করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্ট ১৫ মিনিট মুখে মাসাজ করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। মধু ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তোলে আর লেবুর রস এবং দইয়ে মিশ্রণে উপস্থিত ভিটামিন-সি ত্বককে উজ্জ্বল এবং ফর্সা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একটি লেবু থেকে রস সংগ্রহ করে তাতে ১ চামচ চিনি মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রণটি ততক্ষণ পর্যন্ত মুখে ঘষতে থাকুন, যতক্ষণ না চিনিটা ত্বকের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নেবেন। ফর্সা ত্বক পেতে এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুণ কাজে আসে।

আরও পড়ুন: তেলে ত্বক সুন্দর

একটি কলা চটকে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো দুধ মিশিয়ে মুখে লাগাতে হবে। তবে খেয়াল রাখবেন পেস্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায়। তবেই কিন্তু ভালো কাজ দেবে।

দিনে দুইবার যদি ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায়, তাহলে ত্বক ফর্সা হতে একেবারে সময়ই লাগে না। শুধু তাই নয়, মুখের নানাবিধ দাগ মেটাতেও এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি দারুণ কাজে আসে।

Advertisement

এইচএন/এমএস