গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। খাবারে অনিয়ম, সচেতনতার অভাবে গ্যাস্ট্রিকের মতো সমস্যা শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আর একবার গ্যাস্ট্রিক হলে মুশকিল। কোনোকিছু খেয়েই শান্তি পাবেন না। একটুতেই শুরু হবে এসিডিটি। হজমে সমস্যা তো হবেই। আর এসবকিছুর প্রভাব পড়বে আপনার বাহ্যিক জীবনযাপনেও। ওষুধ খেলে হয়তো সাময়িক মুক্তি মেলে কিন্তু তারপরই আবার আগের মতোই। তাই এমনকিছু উপায় মেনে চলা উচিৎ যাতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে চিরতরে।
Advertisement
আরও পড়ুন: পেটে সমস্যা হলে কী খাবেন?
প্রতিদিন অল্প করে আদা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প সময়ে হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটবেই, সেই সঙ্গে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমতেও দেখবেন সময় লাগবে না। আসলে আদায় উপস্থিত অ্যান্ট-ইনফেলেমটরি উপাদান এক্ষেত্রে এমন খেল দেখায় যে কোনও ধরনের পেটের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পায় না।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লবঙ্গে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই এবার থেকে একটু বেশি মাত্রায় খাবার খাওয়ার পর যদি বুক জ্বালা এবং ঢেঁকুর ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে ১-২ টি লবঙ্গ খেয়ে ফেলতে ভুলবেন না যেন!
Advertisement
এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি পান করলে দেখবেন আর কোনোদিন অ্যাসিডিটি হবে না।
দারুচিনি একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, তেমনি পেটের সংক্রমণের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ঠিকমতো হজম না হওয়ার সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে অল্প করে দারুচিনি দিয়ে তৈরি চা খেলে দেখবেন দারুণ উপকার মিলবে।
মৌরিতে থাকা বিশেষ এক ধরনের তেল পাকস্থলির কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজম এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।
অ্যালোভেরায় উপস্থিত নানাবিধ খনিজ একদিকে যেমন ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যাসিড, স্টমাকে তৈরি হওয়া অ্যাসিডের কর্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
Advertisement
গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুণ কাজে আসে। এতে এমনকিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে এমন রোগের প্রকোপ কমাতে ৩-৫ টি তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে, সেই পানি ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।
স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত অ্যাসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই তো অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
আপনি কি প্রায়শই অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩ টি বাদাম খেয়ে নিতে ভুলবেন না। বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম এবং অ্যালকেলাইন কমপাউন্ড, যা স্টামক অ্যাসিডিটির জন্য দায়ি অ্যাসিডদের ক্ষতি করার ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়।
গুড়ে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, ইন্টেস্টাইনের ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটাতে, শরীরের ভেতরের তাপমাত্রা ঠিক রাখতে এবং স্টমাকের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই কারণেই তো গরমে বেশি করে গুড়ের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: কী খেলে পাকা চুল কালো হয়?
অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ ঠিক হতে শুরু করে। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।
এইচএন/পিআর