দেশজুড়ে

চট্টগ্রামে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় রাইফা নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। শুক্রবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষকে আটক করলেও চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ নেতাদের চিকিৎসা সেবা বন্ধের হুমকির পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নিহত রাইফা দৈনিক সমকালের সিনিয়র সাংবাদিক ও চট্টগ্রাম স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি রুবেল খানের মেয়ে।

Advertisement

এদিকে এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সিভিল সার্জনের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সূত্র জানায়, গলা-ব্যথা নিয়ে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শিশু রাইফাকে ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করান বাবা রুবেল খান। এ সময় চিকিৎসক ভুল ইনজেকশান পুশ করে। ফলে রাইফার শারীরিক অবনতি ঘটে এবং রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সাংবাদিক রুবেল খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাক্স হাসপাতালে অবহেলা ও ভুল ইনজেকশানের কারণে গতরাত ১২ টার দিকে আমার মেয়ে মারা গেছে। এ ব্যাপারে আমাদের সাংবাদিক নেতারা মামলার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও নগরীর একাধিক প্রাইভেট হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় অনেক বাবা-মায়ের বুক খালি হয়েছে। আমার শিশুসহ ভুল চিকিৎসার শিকার সবার বিচার চাই।’ এদিকে রাইফা নিহতের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেন। এ সময় চকবাজার থানা পুলিশওই হাসপাতালে ডিউটিরত মেডিকেল অফিসার, নার্স ও সুপারভাইজারকে আটক করে ।

চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল কালাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘ম্যাক্স হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় সাংবাদিকের শিশু কন্যার মৃত্যুর অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে আটক করি। ভুল ইনজেকশনের কারণে শিশু রাইফার মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সরা।’

তিনি আরও বলেন, ‘অভিযুক্তদের আটকের পর পরই বিএমএ নেতারা থানায় এসে তাদের ছাড়া না হলে চট্টগ্রামের সব হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

Advertisement

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। ভুল চিকিৎসায় কেউ মারা যাবে- এটা মেনে নেয়া যায় না। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আবু আজাদ/এমএমজেড/পিআর