মতামত

ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য বন্ধ করুন

জানমালের নিরাপত্তা দেয়া সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালনে সামান্যতম গাফিলতির কোনো সুযোগ নেই। দুঃখজনক হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে-বাহ্যত এমন মনে হলেও বাস্তবে কিন্তু বিষয়টি সে রকম নয়। কেননা খোদ রাজধানীতেই বেড়ে গেছে ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্য। এ ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো মূল্যে।

Advertisement

রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোডে এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কামরুল ইসলাম (২৬) নামের এক পিকআপভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত কামরুল শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার আব্দুর রহমানের ছেলে। ঢাকায় লালবাগ এলাকার রহমতগঞ্জে বসবাস করতেন।

নিহতের সহকারী রফিক গণমাধ্যমকে জানান, ময়মনসিংহে ট্রিপ নামিয়ে এসে ভোরে কুড়িল বিশ্বরোডে চা খেতে নামেন তারা। এ সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী কামরুলকে ঘিরে ধরে এবং টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। মোবাইল ও টাকা না দিতে চাইলে একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা কামরুলকে ছুরিকাঘাত করে।

রাজধানীতে এত এত বাহিনী। বলতে গেলে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে রাজধানী। এর মধ্যেও যদি জানমালের নিরাপত্তা না থাকে সেটি খুবই দুঃখজনক। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ছিনতাইকারী একাধিকবার ধরা পড়লেও জামিনে বেরিয়ে আবারও ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ছে। অপরাধের শাস্তি না হলে তা কমার কোনো কারণ নেই। এজন্য অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

Advertisement

জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে প্রতিদিন ঘর থেকে প্রচুর সংখ্যক মানুষ বাইরে বের হন। তারা যেন নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে সেটি দেখতে হবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে। রাজধানীতে থানার সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের সংখ্যাও। কিন্তু অপরাধ না কমে বরং বাড়ছে। এই বৈপরীত্য চলতে পারে না।

এইচআর/পিআর