রাজনীতি

সাত মণ ঘিও জুটবে না রাধাও নাচবে না : কামরুল

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া সফল হলে সরকার তিন দিনও ক্ষমতায় টিকতে পারবে না- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সাত মণ ঘিও জুটবে না রাধাও নাচবে না।’

Advertisement

শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

কামরুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি আজ আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। নির্বাচনে পরাজয়ের মূল কারণ হচ্ছে তাদের সাংগঠনিক কোনো শক্তি নেই। নির্বাচনে পোলিং এজেন্ট দেয়ার মতো শক্তি তাদের নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয় ছিনিয়ে আনার মতো সাংগঠনিক শক্তি তাদের নেই। অথচ তারা হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন।’

‘বৃহস্পতিবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা এমন একটা ঐক্য গড়ে তুলতে চান যে তিন দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিদায় করে দেবেন। আমি বলতে চাই ফখরুল ইসলাম আলমগীর, হুমকি দিয়ে কোন লাভ নেই, আওয়ামী লীগ যদি ইচ্ছা করে, আওয়ামী লীগের যে কোন সহযোগী সংগঠন যদি ইচ্ছা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের...

Advertisement

আওয়ামী লীগের নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আপনাদের অস্তিত্বই থাকবে না। যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, যারা গণতন্ত্র হত্যা করতে চায়। তাদের রাজনীতি থেকে উৎখাত করতে সময়ের প্রয়োজন মাত্র ২৪ ঘণ্টা। এর বেশি সময় লাগে না। অহেতুক আস্ফালন করবেন না। আপনাদের আন্দোলনে মুরোদ কতটুকু সেটা আমাদের জানা আছে।’

তিনি বলেন, ‘৯ বছর পর্যন্ত কিছুই করতে পারেননি। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের পর এই পর্যন্ত আন্দোলন আন্দোলন করেছেন, আন্দোলনের কোন রূপরেখা বা কোনো কর্মকাণ্ডই দেখিনি। আপনারা হুমকি দিচ্ছেন- ঐক্য গড়ে তুলবেন এবং তিন দিনের মধ্যে আমাদের নামিয়ে দেবেন। আরে...সাত মণ ঘিও জুটবে না রাধাও নাচবে না।’

‘এইসব নেতাদের জন্য আমাদের করুণা হয়। যারা এই সব আস্ফালন করেন। আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা তাদের টিকিয়ে রেখেছেন। রোজ রোজ একটা সংবাদিক সম্মেলন করে কথাবার্তা প্রচার করে, আর কোনো কিছু নেই। প্রচারের মাধ্যমেই তারা টিকে আছে। বিএনপি ক্রমান্বয়ে একটা প্রচার স্বর্বস্ব দলে পরিণত হচ্ছে। আর কোন অস্তিত্ব তাদের নেই।’

আগামী নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির ভরাডুবি নিশ্চিত জেনে এখন থেকেই আবোল-তাবোল বকছে বলেও মন্তব্য করেন কামরুল ইসলাম।

Advertisement

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দশটি হুন্ডা বিশটি গুন্ডার নির্বাচন- সেই নির্বাচন চলে গেছে। সবাই পর্যবেক্ষণ করেছে এই নির্বাচন। বিএনপি গাজীপুরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন কথাবার্তা বলে যাচ্ছে। তাদের কথাবার্তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে অত্যন্ত দায়িত্বশীল বিদেশি রাষ্ট্রদূতও কথাবার্তা বলেন, তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয়ে যখন কথাবার্তা বলেন তখনই আমাদের দুঃখ হয়।’

বিএনপির সুরে সুর মিলিয়ে নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য না করতে রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কথা আমলে নেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি না। তাদের কথা আমলে নিয়ে কথা বললে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। জনমনে আপনাদের ভূমিকা সম্পর্কেও প্রশ্ন সৃষ্টি হয়।’

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/এমআরএম/পিআর